দরপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের আটক ৩
২৮ মার্চ ২০২২ ০০:০৭ | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২২ ০০:১৩
ঢাকা: শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনালের হাসপাতালে দরপত্র জমাদানে বাধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো মামলা না করলে পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে দরপত্রটি বাতিল করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল চত্বর থেকে তিন জনকে আটক করে টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। আটক তিন জন হলেন— টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফয়েজ আহমেদ রাজু, ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানি।
জানা গেছে, রোববার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনালের হাসপাতালের অফিস রুমে দরপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়। গাজীপুরের আলমগীর হোসেনের তুলক এন্টারপ্রাইজ ও সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজ নামে দু’টি দরপত্র জমা হয়। পরে মুন্সি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজ ও সাখাওয়াত এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দরপত্র জমা দিতে হাসপাতালে ভেতরে যান এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
প্রতিষ্ঠানগুলোর অভিযোগ, এসময় তুলক এন্টারপ্রাইজ ও সিদ্দিক এন্টারপ্রাইজের পক্ষ নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফয়েজ আহমেদ রাজুর নেতৃত্বে ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজ ও ৫৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সানিসহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর লোকজনকে মারধর করে দরপত্রের কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। পরে হাসপাতালের ভেতরে তাদের তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন।
এসময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতাল থেকে ফয়েজ আহমেদ রাজু, ইব্রাহিম সানি ও মাহফুজকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
মুন্সি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক সুমন মুন্সি বলেন, দরপত্র জমা দেওয়া তো দূরের কথা, হাসপাতালে প্রবেশ করা মাত্রই তারা দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে আমাদের লোকজনকে মারধর করে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে।
জানতে চাইলে শহিদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দরপত্র বাতিল করা হয়েছে। কয়েকদিন পর ফের দরপত্র আহ্বান করা হবে।’ এ ঘটনায় হাসপাতালের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান তিনি।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ সারাবাংলাকে বলেন, হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ থেকে ফোন পেয়ে তিন জনকে হাসপাতালের চত্বর থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরে কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ করেনি। তাই ওই তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর
আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল ছাত্রলীগ-যুবলীগ দরপত্র জমাদানে বাধা