‘এতিম’ বলায় খুন হয় স্কুলছাত্র রাহাত, বন্ধু বিপ্লব আটক

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের স্কুল ছাত্র রাহাত (১৪) হত্যা রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব। শনিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. এরশাদুল রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ওই হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তুলে ধরেন।

র‌্যাব কমান্ডার মো. এরশাদুল রহমান জানান, বন্ধুকে এতিম বলায় জীবন দিতে হয় স্কুলছাত্র রাহাতকে (১৪)। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিহত রাহাতের বন্ধু বিপ্লব র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে।

তিনি জানান, রাহাত ও বিপ্লব বন্ধু, তাদের বাড়িও পাশাপাশি। গত মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাতে বিপ্লব ও রাহাত কালিহাতী উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া বাজারে বসে লুডু খেলছিল। এসময় বিপ্লবকে কয়েকবার রাহাত এতিম বলে সম্বোধন করে। এ কারণে রাহাতের ওপর ক্ষিপ্ত হয় বিপ্লব এবং রাহাতকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়।

পরে বিপ্লব বাজারের একটি দোকান থেকে ব্লেড ও সিগারেট কেনে। এরপর সে সিগারেট খাওয়ার কথা বলে রাহাতকে কাগুজিপাড়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সিগারেট খাওয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপ্লব ব্লেড দিয়ে রাহাতের গলায় পোঁচ দেয়। এসময় রাহাত চিৎকার দিলে বিপ্লব মুখ চেপে ধরে আরও কয়েকবার পোঁচ দেয়।

পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঁদা-মাটির মধ্যে রাহাতের মুখ চেপে ধরে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর মরদেহ পাশের পুকুরে ফেলে দিয়ে রাহাতের মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়িতে চলে যায় বিপ্লব। বাড়িতে গিয়ে সে গোসল করে এবং তার রক্তমাখা জামা-কাপড় ধুয়ে ফেলে।

গণমাধ্যম কর্মীদেরকে র‌্যাবের কর্মকর্তা আরও জানান, গতকাল শুক্রবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে কালিহাতী থেকে বিপ্লকে আটক করার পর র‌্যাবের কাছে সে এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ঘটনার বর্ণনা দেয়। পরে তার ঘর থেকে তার জামা-কাপড় ও নিহত রাহাতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, বুধবার (২৩ মার্চ) সকালে উপজেলার কোকডহরা ইউনিয়নের কাগুজিপাড়া এলাকা থেকে রাহাতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাহাত বানিয়ারা গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। সে বল্লা করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল, আটক বিপ্লব বানিয়ারা গ্রামের নুবু মিয়ার ছেলে।

সারাবাংলা/এমও

আটক এতিম খুন স্কুলছাত্র রাহাত