Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্য ২৮ মার্চ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ মার্চ ২০২২ ১৬:৫৭ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ১৮:৫৪

ঢাকা: নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আগামী ২৮ মার্চ তারিখ নির্ধারণে করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাকির হোসেনের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু এদিন মামলাটির বাদী নিহতের ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবী নিয়োগের জন্য আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরিন শিল্পী জানান, এছাড়াও পলাতক থাকা আসামিদের আইনজীবী নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৮ মার্চ তারিখ ধার্য করেন।

আরও পড়ুন- চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ২০ মার্চ

জানা যায়, মামলাটি উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে দীর্ঘ দিন ধরে বিচার কাজই বন্ধ ছিল বিচারিক আদালতে। চলতি বছরের গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্থগিতাদেশ শেষে বিচারক আদালতে নথি আসে।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করে ছিলেন ওই সময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পারভিন সুলতানা দিতিকে। বিয়ের কিছু দিন পর তাদের সম্পর্কে ফাটল ধরে। ওই সময় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন সোহেল চৌধুরী। জড়িয়ে পড়েন নেশার জগতে।

একপর্যায়ে নেশা ও জুয়ায় ডুবে থাকতেন তিনি। সেই অন্ধকার জগতের অপরাধীদের সঙ্গে শুরু হয় বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে দ্বন্দ্ব। সেই দ্বন্দ্বের রেশ ধরেই অবসান ঘটে তার জীবনের। বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সন্ত্রাসীদের গুলিতে মারা যান নায়ক সোহেল চৌধুরী। ওই ঘটনায় সোহেল চৌধুরীর ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— এজাহারভুক্ত আদনান সিদ্দিকী, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারিক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই সময় আসামিদের মধ্যে একজন হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন। হাইকোর্ট বিভাগের তৎকালীন বিচারপতি এম এ মতিন ও সৈয়দ রিফাত আহমদের বেঞ্চ ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওই রিট আবেদনে প্রথমে তিন মাসের জন্য নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। এরপর ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রিটের রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলাটির নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত ছিল।

সারাবাংলা/এআই/টিআর

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী সোহেল চৌধুরী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর