‘স্বাধীনতা পদক প্রদানেও সরকার আত্মীয়করণ করেছে’
২৪ মার্চ ২০২২ ১৮:৪১ | আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২২ ২০:৩৬
ঢাকা: স্বাধীনতা পদক প্রদানেও সরকার ‘আত্বীয়করণ’ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ‘স্বনির্ভর দেশ গঠনে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবদান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা আয়োজন করে বিএনপির স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে চিকিৎসা ও সেবা কমিটি।
অনুষ্ঠানে ৭জন প্রখ্যাত চিকিৎসক মুক্তিযোদ্ধাকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এরা হলেন অধ্যাপক ফরিদুল হুদা, অধ্যাপক মোবিন খান, অধ্যাপক শামসুল ইসলাম, ডা. সাহাদাত হোসেন, অধ্যাপক মোমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক আবদুল হক। এ ছাড়া বিএনপির খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আবদুস সালামকেও সন্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শাপলা হলে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ৯ জন ব্যক্তি এবং দুই প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২২ প্রদান করা হয়। পুরস্কাজয়ী এবং তাদের প্রতিনিধিদের হাতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর কয়েক ঘণ্টা পর প্রেস ক্লাবে আয়োজিত দলীয় অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে স্বাধীনতার পদক জিয়াউর রহমান চালু করেছিলেন সেই স্বাধীনতার পদক নিয়ে তারা (সরকার) দুর্নীতি করেছে। এবার আমির হামজা নামে একজনকে তারা পদক দিয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পরে পদক বাতিল করে দিয়ে আবার নতুন করে তদন্ত করছে। শুধু তারই কেন? আরও যাদেরকে দিয়েছে তাদেরটা তদন্ত করুন, তারা কারা? এদের বেশির ভাগই হয় মন্ত্রীদের আত্বীয়-স্বজন অথবা প্রধানমন্ত্রীর আত্বীয়-স্বজন, তাদেরকেই এই পদক দেওয়া হয়েছে এবার।’
তিনি বলেন, ‘তারা লুটপাট, দুর্নীতি এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেছে যে, এখন এদেশকে রক্ষা করতে হলে এদের সরানো ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। এরা গণতন্ত্রের সর্বনাশ করেছে। লাখ লাখ মানুষকে ঘরছাড়া করেছে। আমাদের ৩৫ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে, গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে হয়রানি করেছে, ৬‘শ অধিক মানুষকে তারা গুম করে দিয়েছে, সহস্র মানুষকে তারা হত্যা করেছে— এই হচ্ছে আওয়ামী লীগ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা আমাদের মনে রাখতে হবে এই সরকার স্বাধীনতাবিরোধী সরকার, জনগণের বিরুদ্ধের সরকার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী আমরা পালন করছি। আর তারা কীভাবে অর্থ উপার্জন করবে, কীভাবে লুটপাট করবে, কীভাবে বিদেশে অর্থ পাচার করবে, কীভাবে আত্বীয়-স্বজনদের আরও বেশি টাকা-পয়সা উপার্জনে স্ফীত করবে সেই লক্ষ্যে তারা কাজ করছে।’
চিকিৎসা ও সেবা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক হারুন আল রশিদ ও সদস্য ডা. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব অধ্যাপক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. আব্দুস সেলিম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন ডাবলু, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. শহীদুল আলম প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/একে