খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া উচিত: জাফরুল্লাহ
২২ মার্চ ২০২২ ১৭:৫৩ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ১৯:৫৮
ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তার নির্বাচন করতে পারা উচিত। খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা (নির্বাচন কমিশনের কাছে) জানতে চেয়েছি। আমার মতে উনার নির্বাচন করতে পারা উচিত। কেননা উনার মামলার ফয়সালা হয়নি। আমি সবসময় বলেছি, জামিন পাওয়া তার অধিকার।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বিশিষ্ট নাগরিকদের সংলাপ শেষে সাংবাদিক এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন- ইসির সংলাপে সুশীল সমাজের আমন্ত্রিত ৩৯ জনের মধ্যে উপস্থিত ১৭
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা সবাই দেশকে ভালোবাসি। যারা সংলাপে এসেছিলেন তারা সবাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন চেয়েছেন। আমরা দেশে গণতন্ত্র চেয়েছি। আমরা এটাও বলেছি, দলীয় সরকারের অধীনে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন বড় কঠিন ব্যাপার। অসম্ভব বলিনি, কিন্তু কঠিন ব্যাপার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, তারা আমাদের উপদেশগুলো সিরিয়াসলি নিয়েছেন। আমরা সংখ্যালঘুদের বিষয়ে কথা বলেছি, নারীদের বিষয়ে কথা বলেছি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। কিন্তু নিবন্ধন বাতিল হওয়া সেই রাজনৈতিক দলের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে সিদ্ধান্ত জানতে চেয়েছি। যেহেতু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, এখানে এইভাবে এটাকে ফেলে রাখার মানে হবে না।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন শক্ত হয়ে গেছে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ২০টি জেলাতে অফিস না করে ১০টা জেলায় করা যায় কি না, আমরা সে কথা বলেছি। আমরা বলেছি, প্রত্যেক জেলাতে চাঁদা দেওয়া ১ হাজার সদস্য থাকতে হবে, যার মধ্যে ২০ শতাংশ নারী থাকতে হবে। এসব নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এই সংলাপে ৩৯ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি ইসির দ্বিতীয় সংলাপ। গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রথম সংলাপ করে ইসি। ওই সংলাপে ৩০ জন আমন্ত্রিত শিক্ষক-শিক্ষাবিদদের মধ্যে সংলাপে অংশ নেন ১৩ জন।
নির্বাচন কমিশনের মঙ্গলবারের সংলাপে আরও উপস্থিত ছিলেন— টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, সিপিডি‘র সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইনডেজিনিয়াস পিপলস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশি কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, লিডারশিপ স্টাডিজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. সিনহা এম এ সাঈদ, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মন্ডল, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক বেগম শাহীন আনাম, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গভর্ন্যান্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট ড. জহুরুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ হাফিজুর রহমান।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
ইসির সংলাপ খালেদা জিয়া টপ নিউজ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী নির্বাচন কমিশন সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপ