চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ
২২ মার্চ ২০২২ ১২:৩৩ | আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ১৪:২১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের চকবাজার জোনের সহকারী কমিশনার শহীদুল ইসলাম।
তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের জুনিয়র ছেলেদের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে প্রথমে ঝগড়া হয়। তবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তারা ব্যর্থ হন। জুনিয়র ছেলেরা প্রথমে একজন আরেকজনকে কিল, ঘুষি দেয়। এরপর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটের টুকরা ছুঁড়ে মারে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিই। ইটের টুকরা কারও মাথায়, কারও হাতে-পায়ে, শরীরের বিভিন্ন অংশে লেগেছে। ছয় জনের মতো আহত হয়েছে। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টা থেকে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষের পর পুলিশ এসে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়। এরপর সভাপতি মাহমুদুল করিমের অনুসারীরা ক্যাম্পাসের কাঁঠালতলায় এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজের অনুসারীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ক্যাম্পাসে এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ফের সংঘর্ষ ঠেকাতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে সহকারী পুলিশ কমিশনার শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটা আমাদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নয়। আমরা দুই জন একসাথে আছি। কিন্তু গতকাল (সোমবার) জুনিয়র কয়েকজন ছেলের মধ্যে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আমরা আজ সেটা নিয়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছিলাম। আমি ক্যাম্পাসে ঢোকার আগেই এইচএসসি প্রথম বর্ষের কিছু ছাত্রের মধ্যে আবার ঝামেলা হয়। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ঝগড়া, তারপর একজন আরেকজনের গায়ে হাত তোলে। পরে তারাই আবার মারামারি করেছে।’
সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুই-তিনদিন আগে জুনিয়র এক ছেলেকে ক্যাম্পাসে মারধর করা হয়। গতকাল (সোমবার) আবার তাকে বেধড়কভাবে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সেটা নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) আমরা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সমঝোতা করতে বসেছিলাম তাদের নিয়ে। সেখানে এক ছেলে আরেক ছেলের গায়ে হাত তোলে। ওরা দুজন আবার ইন্টারের ছাত্র। তখন আর সামলানো যায়নি। জুনিয়র ছেলেরা মারামারি শুরু করে দেয়।’
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক উভয়ই শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সারাবাংলা/আরডি/এমও
চট্টগ্রাম কলেজ চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ টপ নিউজ দু’গ্রুপে সংঘর্ষ