ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইউপিডিএফের অবরোধ
২১ মার্চ ২০২২ ১৮:২৩
খাগড়াছড়ি: অবরোধে জেলার বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। সংগঠনের নেতা মিলন চাকমা সৌরভের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (২১ মার্চ) পুরো জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধ পালন করেছে প্রভাবশালী এই আঞ্চলিক দলটি। ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে এ অবরোধ চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত।
অবরোধের শুরুতে সকালে গুইমারা উপজেলার বাইল্যাছড়ি ডাবল ব্রিজ এলাকায় সবজিবোঝাই একটি সিএনজিতে আগুন দিয়েছে অবরোধ সমর্থিত পিকেটাররা। এসময় সিএনজিচালক মো. আনোয়ার মিয়া গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের মাটিরাঙা ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। মাটিরাঙা উপজেলার তবলছড়ি ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে অবরোধকারীরা। আর লক্ষীছড়িতে অবরোধের নামে নাশকতা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার সময় মংহলা পাড়া যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে বিউটি চাকমা (২৫) ও শুভ চাকমা (২২) নামে অবরোধ সমর্থিত দুই পিকেটারকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
লক্ষীছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির জানান, অবরোধ শেষে ছেড়ে দেয়া হয় তাদের। এছাড়া জেলা সদরসহ পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, রামগড় ও মানিকছড়ির বিভিন্ন সড়কে টায়ারে আগুন দিয়েছে ইউপিডিএফ কর্মীরা।
এদিকে অবরোধ চলাকালে দুরপাল্লার এবং অভ্যন্তরীণ সড়কে কোনো পরিবহন চলাচল না করলেও জেলা এবং উপজেলা সদরে পরিবহন চলাচল ছিল অন্যান্য দিনের মতোই। অবরোধে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিলো জেলাজুড়ে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভোরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল দলের হাতে অস্ত্রসহ আটক হয়েছিলেন মিলন চাকমা (৪২)। আটকের পরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিনই তার মৃত্যু হয় বলে জানায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তবে তাৎক্ষণিক এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফের মুখপাত্র অংগ্য মারমা অভিযোগ করেছিলেন, ‘শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে তাদের নেতা মারা গেছেন।’ এই ঘটনার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দীঘিনালা-বাবুছড়া সড়কের পুকুরঘাট এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস এবং একটি মাহেন্দ্র ট্রাক্টরে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে সোমবার জেলায় আধাবেলা সড়ক অবরোধের ঘোষণা দেয় ইউপিডিএফ।
সারাবাংলা/এসএসএ