ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনা, গুরুত্ব পাচ্ছে স্বাধীনতাকমী অঞ্চল
১৭ মার্চ ২০২২ ১৩:৪২ | আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২ ১৭:৫০
ইউক্রেনে হামলা আজ ২১ দিনে পা দিয়েছে। ইতোমধ্যে প্রতিবেশি দেশ বেলারুশে শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের কূটনৈতিকরা। সেই আলোচনা আলোর মুখ দেখতে শুরু করেছে। যুদ্ধ শেষ হলে রাশিয়ার সৈন্যরা পূর্ব ইউক্রেনের স্বাধীনতাকমী অঞ্চলে থাকবে কি না এবং তাদের সীমানা কোন পর্যন্ত হবে তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা। খবর আলজাজিরা।
ওই কর্মকর্তা মার্কিন সংবাদ সংস্থা এসপি’কে জানান, রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার মূল বিষয় ছিল যুদ্ধের পরে রুশ সৈন্যরা পূর্ব ইউক্রেনের স্বাধীনতাকামী অঞ্চলে থাকবে কি না এবং তাদের সীমানা কোন পর্যন্ত হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন আলোচনায় এক বা একাধিক পশ্চিমা পারমাণবিক শক্তিকে যুক্ত করতে জোর দিয়েছিল। একইসঙ্গে ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি আইনত বাধ্যতামূলক করতে তা চুক্তিতে যুক্ত করার জন্য গুরুত্ব দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার দাবি আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে: জেলেনস্কি
এর বিনিময়ে ইউক্রেন একটি নিরপেক্ষ অবস্থানের বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির অফিসের ওই কর্মকর্তা।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে এক ভিডিও বার্তায় চলমান যুদ্ধ বন্ধে শান্তি আলোচনায় রাশিয়ার দাবি আরও বাস্তবসম্মত হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি। তবে আলোচনার জন্য আরও সময় প্রয়োজন ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানায়, গত মঙ্গলবার ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদান করবে না বলে স্বীকার করেছেন জেলেনস্কি।
মূলত ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানের যেকোনো অভিপ্রায় ত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া দেশটির দোনেস্ক, লুহানস্ক এবং ক্রিমিয়ার বিচ্ছিন্ন প্রদেশগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছে রুশ প্রশাসন।
সারাবাংলা/এনএস