‘বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু’
১৬ মার্চ ২০২২ ১৪:১৫
ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা ও মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে তার দর্শনই বারবার পথ দেখায়।
বুধবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অদম্য বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের উদ্যোগে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের গুণাবলী প্রকাশিত হয়েছে তার কিশোরজীবন থেকেই। তিনি সমগ্র বাঙালিকে নিয়েই ভাবতেন। তার এই ভাবনাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে তুলেছিল। তিনি সবসময় বাঙালির স্বাধীনতা এবং মুক্তির কথা একসঙ্গে বলেছেন, বারবার বলেছেন। তিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি বাঙালির মুক্তির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সেই মুক্তির পথ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে তার দেখানো পথেই বাঙালি জাতি মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছে।
সেমিনারে আলোচকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে যে আজকের বাংলাদেশের জন্ম হতো না, সেকথা স্মরণ করে দিয়ে আলোচকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুরর মতো কেউ ছিলেন না। এই বাংলাদেশ সৃষ্টি এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বঙ্গবন্ধুর অপরিহার্যতা অপরিসীম।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, ইসলামী বিশ্বিবদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. রাশিদ আসকারী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, ড. হারুন রশীদ, ডেপুটি এডিটর, জাগোনিউজ২৪ ডটকম।
সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান।
সারাবাংলা/এসএসএ/এএম