অবসরের পর ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন প্রধান বিচারপতিরা
১৪ মার্চ ২০২২ ১৪:৪১ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ ১৬:২৪
ঢাকা: অবসরের পর গৃহ সহায়ক, গাড়ি চালক, দারোয়ান সেবাসহ বিভিন্ন সেবার জন্য ৭০ হাজার টাকা বিশেষ ভাতা পাবেন প্রধান বিচারপতিরা। এমন বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২২’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটি অধ্যাদেশ ছিল। এ জন্য আইনে পরিণত করা হচ্ছে। এখানে দুই-একটা জিনিস নিয়ে আসা হয়েছে। পেনশনযোগ্য কর্মকাল অর্থ প্রকৃত কর্মকাল এবং পূর্ণ বেতনে প্রত্যেক ছুটির মেয়াদে ৩০ দিন অথবা প্রকৃতপক্ষে গৃহীত ছুটির পরিমাণ উভয়ের মধ্যে যেটি কম, সেটি অন্তর্ভুক্ত হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো বিচারক পূর্ণ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালে তার নির্ধারিত মাসিক বেতনের সমানহারে ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হবেন। কোনো বিচারক অর্ধ গড় বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন আমাদের যে সরকারি বিধান আছে, সে অনুযায়ীই উনারা ছুটি প্রাপ্ত হবেন।’
কোনো বিচারক দায়িত্বকালীন আহত হয়ে অক্ষম হলে বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি প্রাপ্য হবেন। এ ক্ষেত্রে পান্ডামেন্টাল রুলের ৮৩’র বিধানই যথাসম্ভব প্রযোজ্য হবে, জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, ‘কোনো বিচারক কোনো সহিংস ঘটনায় আহত বা নিহত হলে এ বিষয়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য বিধান ওই বিচারকের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনসহ প্রযোজ্য হবে। আর কোনো বিচারক অবসর গ্রহণকালে ছুটি পাওনা সাপেক্ষে ১৮ মাসের ছুটি নগদায়নের সুবিধা পাবেন, যেটি সরকারি কর্মচারীরা পায়। এটি সুপ্রীম কোর্টের জাজদের বেলায় ছিল না। এখন যদি উনাদের ছুটি পাওনা থাকে, তাহলে ওনারাও পাবেন।’
আইনের খসড়ায় কোনো পরিবর্তন কী আছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটা আছে। কোনো অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি তার জীবদ্দশায় গৃহ সহায়ক, গাড়ি চালক, দারোয়ান সেবা, সাচিবিক সহায়তা এবং অফিস কাম রেসিডেন্স রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতি মাসে ৭০ হাজার টাকা অবসরোত্তর বিশেষ ভাতা পাবেন।’
‘আরেকটা প্রস্তাব করা হয়েছে যে, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে একটা সার্টেইন পিরিয়ড পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া রাষ্ট্রীয়, এটি ক্যাবিনেট আলোচনা করে বলেছে যে, এটি আইনের মধ্যে থাকার দরকার নেই। এটি সরকার মনে করলে এক্সিকিউটিভ অর্ডার দিয়ে তাদেরকে দিতে পারবে, এটি আইনে আনা যাবে না। কারণ অন্যান্য কোন দেশের আইনে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে অবসরের পরে নিরাপত্তা কতদিন দিতে হবে, এটি আইনে নেই। সেজন্য সরকার মনে করে যে, যদি কারোক্ষেত্রে সেন্সিভিটি থাকে, সেক্ষেত্রে সরকার নির্বাহী আদেশ দিয়ে তাকে একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা দেবে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে