আইনের খসড়ায় অনুমোদন— ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ হাজির করা যাবে আদালতে
১৪ মার্চ ২০২২ ১৪:২১ | আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২২ ১৫:৫৪
ঢাকা: মামলায় আদালতে ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপনের সুযোগ রেখে এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট তথা সাক্ষ্য আইন (সংশোধনী) ২০২২-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৪ মার্চ) মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এভিডেন্স অ্যাক্টের সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়ছে। এটি আইন ও বিচার বিভাগ থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে অনলাইনে মামলা মোকদ্দমা চলছিল। এর ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সব অনলাইনেই আসছিল। কিন্তু আমাদের এভিডেন্স অ্যাক্টে এরকম ডিজিটাল এভিডেন্স উপস্থাপনের কোনো কোনো বিধান সরাসরি ছিল না। কেউ মামলায় হেরে গেলে সে আবার আপিল করে উচ্চ আদালতে গেলে কিছু আইনি জটিলতা হওয়ার সুযোগ ছিল। এটি অনেকদিন ধরেই আলোচনায় ছিল। এজন্য আইন ও বিচার বিভাগ এই সংশোধনী নিয়ে এসেছে। এর মাধ্যমে এখন ডিজিটাল এভিডেন্সগুলোও আদালতে গ্রহণ করা হবে।
ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণের সত্যতা নিরূপণের ক্ষেত্রে ফরেনসিকের ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, কেউ যেন ফলস বা ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স পুটআপ করতে না পারে, আদালত এরকম কোনো আপত্তিকর কিছু মনে করলে প্রয়োজনে ফরেনসিক করার জন্য দেবেন। ফরেনসিকের মাধ্যমে বিষয়গুলো পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কেউ কোনো ম্যানিপুলেটেড এভিডেন্স দিলেও কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নেই। কারণ ফরেনসিক করলেই ধরা পড়ে যাবে। বিশেষ করে ডক্যুমেন্টের ফরেনসিক কিন্তু দুই-চার মিনিটেই করা যায়। একটু সময় লাগে ভিডিও’র ক্ষেত্রে, তাও খুব বেশি সময় লাগে না। আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে দেশে। বিসিসির (বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল) কাছেও খুব উচ্চ মানের প্রযুক্তি রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন জায়গায় সরকার সুবিধামতো ছড়িয়ে দেবে। এরপর আদালতে ডিজিটাল সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হলে সেগুলো নিয়ে আদালত বা কোনো পক্ষ আপত্তি জানালে ফরেনসিক করে নেওয়া যাবে।
ভুয়া তথ্য উপস্থাপন করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, টুইস্ট করার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি টুইস্ট করে, তাহলে আমাদের পেনাল কোডের (দণ্ডবিধি) ২১১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয়ে যে ব্যবস্থা আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ধারাতেও শাস্তির আওতায় আনার সুযোগ রয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো, ভিকটিমকে ক্রস করার ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। কোন জাতীয় প্রশ্ন প্রয়োজন, সেটি আদালত ঠিক করে দেবেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
আইনের খসড়ায় অনুমোদন এভিডেন্স অ্যাক্ট টপ নিউজ ডিজিটাল তথ্য-প্রমাণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন সাক্ষ্য আইন