জবিতে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ৫
১২ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৭ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫২
ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দলে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এদের মধ্যে একটি সভাপতি ও আরেক গ্রুপ সাধারণ সম্পাদকের বলে জানা গেছে।
শনিবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের টিএসসিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে দুই গ্রুপের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম আখতার হোসাইনের গ্রুপের কয়েকজন নবীন শিক্ষার্থীকে দলে ভেড়ানোকে কেন্দ্র করে সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির গ্রুপের ১৫ ব্যাচের একজনকে টিএসসিতে মারধর করে। পরে সভাপতি প্যানেলের সিনিয়র কয়েকজন এসে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণ সম্পাদক প্যানেলের দু’জনকে মারধর করে। ঘটনাটির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লে পুরান ঢাকার মালিটোলা পার্কে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ লাগে।
সংঘর্ষে নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের গাজী মো. শামসুল হুদা ও খাইরুল আমান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের আব্দুল বারেক, ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মো. সাঈদ আহত হন। এরা সভাপতি গ্রুপের বলে জানা গেছে। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক গ্রুপ থেকে ইসলামিক স্টাডিজ গ্রুপের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মেরাজ হোসাইন আহত হয়েছেন। সবাইকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপকেই লাঠি হাতে শোডাউন দিতে দেখা গেছে।
সভাপতি গ্রুপের আহত ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল বারেক বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে মালিটোলা পার্কের সামনে সভাপতির জন্য অপেক্ষা করার সময় ১২ ব্যাচের ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত, শিশির ও মারুফের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা করা হয়।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন বলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীরা ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করার জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থে এসব কর্মকাণ্ড করছে। যারা মারামারি করেছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়।’
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজি জানান, ‘আমি এ বিষয়ে এখনো অবগত নেই। আমি দূরে অবস্থান করছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে আমার অবগত হয়েছি। মারামারিতে জড়িত ছাত্রদের চিহ্নিত করে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঘটনার বিষয়ে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘সংঘর্ষের বিষয়ে এখনও আমরা কোনো কিছু জানি না। আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।’
সারাবাংলা/পিটিএম