Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এএসপি আনিস হত্যা: ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১১ মার্চ ২০২২ ১০:৫২ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২২ ১৬:২১

আনিসুল করিম, ফাইল ছবি

ঢাকা: সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত ৮ মার্চ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. ফারুক মোল্লা।

শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে আদাবর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর শরীফুল ইসলাম চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক আরিফ মাহামুদ, ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান, কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও ফাতেমা খাতুন, হাসপাতালের সমন্বয়ক রেদোয়ান সাব্বির, হাসপাতালের কর্মচারী মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

এদিকে মাইন্ড এইড হাসপাতালের পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছে।

চার্জশিটে বলা হয়েছে, মধ্যযুগীয় কায়দায় এএসপি আনিসুল করিমকে আঘাত করা হয়েছিল। মাইন্ড এইড হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অপেশাদার লোকদের দিয়ে আনিসুলের দুই হাত পিঠ মোড়া দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর আসামিরা ঘাড়ে, বুকে, মাথায় আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, পারিবারিক ঝামেলার কারণে আনিসুল মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। পরিবারের সবার মতামত অনুযায়ী ছেলেকে চিকিৎসা করানোর জন্য ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর প্রথমে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরে আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরা আনিসুল করিমকে ভর্তি করার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করেন। বেলা পৌনে ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় আমার ছেলেকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যায়। চিকিৎসার নামে দোতলার একটি ‘অবজারভেশন রুমে’ (বিশেষভাবে তৈরি করা কক্ষ) নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আসামিরা চিকিৎসা করার অজুহাতে অবজারভেশন রুমে মারতে মারতে ঢুকায়। ভিকটিমকে ওই রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে তিন-চারজন হাঁটু দ্বারা পিঠের উপর চেপে বসে। কয়েকজন ভিকটিমের পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে দুই হাত বাঁধে। আসামিদের কনুই দিয়ে আনিসুল করিমের ঘাড়ের পিছনে ও মাথায় আঘাত করে। আসামিরা সবাই মিলে পিঠ-ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মেরে আঘাত করে। এরপর বেলা ১২টার দিকে নিস্তেজ হয়ে পড়েন, যা হাসপাতালের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে দৃশ্যমান বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। হাসপাতালটিতে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই কর্মচারীদের ধাস্তাধস্তি ও মারধরে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।

ওই ঘটনায় নিহতের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ বাদী হয়ে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।

আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সারাবাংলা/এআই/একে

এসপি আনিস হত্যা টপ নিউজ পিটিয়ে হত্যা মাইন্ড এইড হাসপাতাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর