‘রাজনীতিতে অস্থিরতা, ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত’
১০ মার্চ ২০২২ ১৪:০৮ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২২ ১৫:৪৭
ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, রাজনীতিতে বড় অস্থিরতা চলছে। রাজনীতির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। সামনে বড় ধরনের রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি হবে। এই মেরুকরণের মধ্য দিয়ে জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে এই তিন বড় দল। এদের মধ্যে ফার্স্ট হওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস’ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে দলটির কেন্দ্রীয় বর্ধিত সভায় সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জি এম কাদের বলেন, দেশে আজ সমস্যার অভাব নেই। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে, জনগণের আয় ইনকাম কমে যাচ্ছে। চাকরিতে যারা আছেন তাদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নেই। বিনোদনকেন্দ্রে স্বামীসহ ঘুরতে গিয়েও ধর্ষণের শিকার হতে হচ্ছে। এর বিচার নেই, নেই কোনো জবাবদিহিতা।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, নিজের জমিতে বাড়ি করতে গেলে চাঁদা দিতে হচ্ছে; ব্যবসা করতে গেলে সেখানেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। কোনো জবাবদিহিতা নেই এই আইনের শাসন আইন শৃঙ্খলা ক্রমান্বয় অবনতির দিকে যাচ্ছে।
এ সময় তিনি উপস্থিত জেলা পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সারাদেশে সাংগঠনিক অবস্থা কী, কীভাবে জাতীয় পার্টির রাজনীতি করা উচিত সেই দিক নির্দেশনা জানাতেই এই বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। আশা করি জেলা নেতৃবৃন্দ সঠিক নির্দেশনা তুলে ধরবেন।
এ সময় উপস্থিত এক নেতা জি এম কাদেরকে উদ্দেশ্য করেন বলেন, জাতীয় পার্টি ভাঙ্গনের মুখে। জবাবে জি এম কাদের বলেন যে কেউ বললেই জাতীয় পার্টিতে ভাঙ্গন হয় না। একটি দলের দুজন নেতা থাকতে পারেন না। জনগণ ও নেতাকর্মীদের সমর্থন লাগে। বেগম রওশন এরশাদ সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন না। তিনি আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। আশা করি তিনি শিগগিরই তিনি সুস্থ হবেন এবং তার কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া যাবে।
মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দূরাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সুশাসনের অভাবে সর্বক্ষেত্রে অস্থিরতা। জনগণের নাভিশ্বাস উঠেছে। যারা মন্ত্রী আছেন তারা জনগণের কষ্ট শুনতে চান না, দেখতে চান না। এই সরকার বলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে আসলে সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ।
তিনি বলেন, আগামীতে তারা আর কারও ওপর ভর করে চলতে চান না।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম