নিহাদকে মারধর: জাককানইবি’র ৪ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার
৮ মার্চ ২০২২ ০৪:১১
ময়মনসিংহ: ছাত্রলীগ না করার অভিযোগে ওয়ালিদ নিহাদকে নির্যাতনের ঘটনায় চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) কর্তৃপক্ষ। তাদের জন্য বরাদ্দ হলের সিটও বাতিল করা হয়েছে। তারা চার জনই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
একই ঘটনায় আরও এক শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ নোটিশ দিয়ে তার হলের সিট বাতিল করা হয়েছে। হলের সিট বাতিল করা হয়েছে আরও তিন শিক্ষার্থীর। এছাড়া তিন শিক্ষার্থীকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল ৩টায় শুরু হওয়া সভা শেষ হয় সন্ধ্যার পর।
সভায় যে চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত করা হয়েছে তারা হলেন— সামিউল হক হিমেল (নাট্যকলা ও পরিবেশনাবিদ্যা বিভাগ), আবু নাঈম আব্দুল্লাহ ওরফে যাযাবর নাঈম (ফোকলোর বিভাগ), মোমেন সরকার (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগ) এবং তানভির আহমেদ তুহিন (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনাবিদ্যা বিভাগ)। এই চার জনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে, এই চার শিক্ষার্থীকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তার জবাব আগামী ১৫ (পনের) দিনের মধ্যে জানতে চেয়ে কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যুর সুপারিশ করেছে শৃঙ্খলা কমিটি। সেইসঙ্গে তাদের নিজ নিজ হলে বরাদ্দ দেওয়া সিটও বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।
সভায় আবু সোলায়মান নাঈমের (স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগ) নামে সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যুর পাশাপাশি তার জন্য বরাদ্দ করা হলের সিটও বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সারজীল হাসান (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনবিদ্যা বিভাগ), মো. পলাশ (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ) এবং জোবায়ের আহমেদ সাব্বিরের নামে সতর্কীকরণ চিঠি ইস্যুর সুপারিশ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪ নম্বর রুমে সিট বরাদ্দ রয়েছে তিন শিক্ষার্থীর নামে। তারা হলেন— মো. ছনিক মিয়া (হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগ), মো. মোজাহিদ হোসেন সজিব (মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ) এবং মো. সৌরভ হোসেন (পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ)। বৈঠকে এই তিন শিক্ষার্থীর হলের আসন বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক থেকে শৃঙ্খলা কমিটি সুপারিশ করেছে, উল্লেখ করা সব শিক্ষার্থীর নামে চিঠি ইস্যু করে সেই চিঠির কপি সরাসরি রেজিস্ট্রি ডাকযোগে তাদের অভিভাবকের স্থায়ী ঠিকানায় পাঠাতে হবে। এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়লে এবং গৃহীত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে কোনো ধরনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন-
‘ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করতে পারবি না, আবরারের মতো মরবি’
বিচার না পেলে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশন
সারাবাংলা/টিআর