ইউক্রেনের পরমাণু কেন্দ্রে রাশিয়ার গোলা নিক্ষেপ, জাতিসংঘে নিন্দা
৫ মার্চ ২০২২ ০১:২০ | আপডেট: ৫ মার্চ ২০২২ ১৩:০৭
ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে গোলাবারুদ ছুঁড়ে হামলা করায় রাশিয়ার তীব্র নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। শুক্রবার (৪ মার্চ) জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি সভায় মস্কো তোপের মুখে পড়ে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের খবর।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) দিবাগত রাতে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দখল নিতে রাতভর গোলা নিক্ষেপ করে রুশ সেনারা। সকালে ওই পরমাণু কেন্দ্রের দখল নেয় তারা। তবে পরমাণু কেন্দ্রে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করায় বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সাবেক সোভিয়েত আমলে চেরনোবিল পরমাণু কেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের নজির টেনে তারা বলছেন, এবারও রুশদের বিবেচনাহীন কাজের কারণে একই ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সভায় বলেন, ‘গত রাতে রুশ সেনাদের দ্বারা সৃষ্ট একটি পারমাণবিক বিপর্যয় থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে বিশ্ব।’ তিনি বলেন, ‘গত রাতে রাশিয়ার হামলা ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। এটি ছিল অবিশ্বাস্যভাবে বেপরোয়া এবং বিপজ্জনক। এটি (হামলা) রাশিয়া, ইউক্রেন এবং ইউরোপ জুড়ে বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।’
জাতিসংঘে যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড বলেছেন, ‘এটি (পরমাণু ক্ষেত্রে হামলা) যেন আর না ঘটে। এমনকি ইউক্রেনে অবৈধ আগ্রাসনের মধ্যেও রাশিয়াকে অবশ্যই পরমাণু ক্ষেত্রগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে এবং এগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।’
অবশ্য জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া পরমাণু কেন্দ্র নিয়ে পশ্চিমাদের উদ্বেগ আমলে নেননি। তিনি পশ্চিমা উদ্বেগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘এটি প্রতিপক্ষের দ্বারা তৈরি আরেকটি কৃত্রিম হিস্টিরিয়া।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমানে জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং সংলগ্ন অঞ্চলে রুশ সেনারা পাহারা দিচ্ছে।’
এদিকে জাতিসংঘের রাজনৈতিক বিষয়ক প্রধান রোজমেরি ডিকার্লো বৈঠকে বলেছেন, ‘পারমাণবিক স্থাপনা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামোর আশেপাশে সামরিক অভিযান অগ্রহণযোগ্য এবং অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ।’
সারাবাংলা/আইই