Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৪ মার্চ ২০২২ ২১:০০ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২২ ২২:০১

ঢাকা: সারাবাংলা ডটনেটে গত ৭ জুন প্রকাশিত ‘প্রতিমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র আদালতে’ শীর্ষক খবরের প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ছেলে মুশফেক আলম সৈকত।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে সারাবাংলা ডটনেটের ইমেইল ঠিকানায় প্রতিবাদটি পাঠিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আল জাবেদ সরকার।

মুশফেক আলম সৈকতের সই করা ‘প্রকাশিত সংবাদের সত্য উন্মোচন’ শীর্ষক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, মামলার বাদী তাসনোভার মতে বর্ণিত ঘটনার তারিখ ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। বিদেশে থাকাকালীন বাদী তাসনোভার উশৃঙ্খল জীবনযাপনের কারণে বিবাদী মুশফেক আলম সৈকত বারবার চেষ্টা করেও তাসনোভাকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হন এবং একপর্যায়ে তাসনোভা বিবাদী মুশফেক আলম সৈকত এবং তার দুগ্ধপোষ্য মেয়েকে (১ বছর ১০ মাস বয়সী) দেশে ফিরে আসতে বাধ্য করেন। তিনি মালয়েশিয়ায় তার ইচ্ছামতো এবং স্বেচ্ছাচারীভাবে প্রায় এক বছর স্বামী-কন্যাহীন জীবনযাপন করেন। মুশফেক আলম সৈকত বাধ্য হয়ে তাসনোভাকে ডিভোর্সের নোটিশ দেন ২০২১ সালের ৩ জানুয়ারি।

প্রতিবাদে বলা হয়, ডিভোর্সের নোটিশ পাওয়ার পর থেকে বাদী তাসনোভা প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে ওঠেন এবং বিবাদীর নামে অসংখ্য মামলা, জিডি করেন হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন সত্ত্বেও। এরপর অসত্য তথ্য দিয়ে একটি মিডিয়া ট্রায়াল করারও আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত হন। ডিভোর্স হওয়ার আগে বাদী তাসনোভা তার দুগ্ধপোষ্য মেয়েকে দেশে রেখে তার পড়ালেখা এবং ভোগবাদী ছুটি কাটানোর জন্য মালয়েশিয়ায় এবং অন্যান্য দেশে অবস্থান করেন। বাদী তাসনোভার মৃত্যুর হুমকির উল্লিখত এই ঘটনার তারিখ (২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে দীর্ঘ এক বছর ৯ মাস পর বর্তমান ফৌজদারি মামলাটি রুজু করেন এবং এই মামলা পিবিআই তদন্ত করার সময় বিবাদীর সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ বা বক্তব্য না নিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবাদে আরও বলা হয়েছে, বাদী তাসনোভার নামে বিবাদী মুশফেক আলম সৈকতের করা একটি মানহানির মামলা আদালতে চলমান রয়েছে এবং মানহানির মামলায় পিবিআইয়ের প্রাথমিক তদন্তে এর সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি কোর্টে চলমান রয়েছে। তাসনোভার অশালীন জীবনযাপনে মুশফেক আলম সৈকতের সায় না থাকা এবং তাসনোভাকে ডিভোর্স দেওয়ার কারণে মুশফেক আলম সৈকতের পরিবারকে বিশেষভাবে তার পিতাকে, যিনি একজন স্বনামখ্যাত প্রতিমন্ত্রী এবং তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদকও পেয়েছেন, তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই মামলাটি রুজু করেন এবং পিবিআই বিবাদীপক্ষের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ না করে, না জানিয়ে একতরফাভাবে একটি প্রতিবেদন জমা দেন।

মুশফেক আলম সৈকত প্রতিবাদে বলছেন, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন হওয়ায় নেতিবাচক সংবাদভাষ্যে মুশফেক আলম সৈকত ও তার পরিবার সমাজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছে এবং বাদীর জিঘাংসার মনোবৃত্তিতে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আইনি নাগরিক হিসেবে মুশফেক আলম সৈকত এবং তার পরিবারের প্রতি ন্যায়ানুগ আচরণ প্রদর্শন করার স্বার্থে তার বক্তব্য প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিবাদলিপিতে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য

আলোচ্য মামলায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের পর যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে, তার ভিত্তিতেই সারাবাংলায় সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে উল্লেখ করা প্রতিটি তথ্য পিবিআইয়ের জমা দেওয়া অভিযোগপত্র সূত্রে পাওয়া।

পিবিআইয়ের জমা দেওয়া অভিযোগপত্রের কপি সারাবাংলার কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিবেদনে প্রতিবেদক বা সারাবাংলার নিজস্ব কোনো বক্তব্য ব্যবহার করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রীর ছেলে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ প্রতিবাদলিপি মুশফেক আলম সৈকত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর