ইরাকে রফতানি হচ্ছে ওয়ালটনের টিভি, ওয়াশিং মেশিন

ভিশন ‘গো গ্লোবাল- ২০৩০’ অর্জনের লক্ষ্যে বৈশ্বিক বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড লোগোতে পণ্য রফতানিতে গুরুত্ব দিয়েছে ওয়ালটন। এই লক্ষ্য অর্জনে এরই মধ্যে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে পণ্য রফতানি শুরু করেছে ওয়ালটন। এর ধারাবাহিকতায় এবার ইরাকে নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে টেলিভিশন ও ওয়াশিং মেশিন রফতানি শুরু করল ওয়ালটন। এর মধ্য দিয়ে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ হলো মধ্যপ্রাচ্যের এই আরব দেশটিতে।

ওয়ালটন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ইরাকে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের টিভি ও ওয়াশিং মেশিন রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরাকের হেড অব মিশন আবদুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ইরাকের ডেপুটি হেড অব মিশন মোহানাদ আল দারাজি।

ওয়ালটন আইবিইউ শাখা জানায়, ইরাকের ওয়ালটনের বিজনেস পার্টনার হিসেবে কাজ করবে দেশটির খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ‘নূর ইশতার’। তারা ইরাকের বাজারে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের টিভি ও ওয়াশিং মেশিন বাজারজাত কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।

সোমবার সকালে অতিথিরা ওয়ালটন কারখানা প্রাঙ্গণে পৌঁছালে তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. হুমায়ূন কবীর ও আলমগীর আলম সরকার, ওয়ালটন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কর্নেল (অব.) এস এম শাহাদাত হোসেন, ইউসুফ আলী, ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন, আইবিইউ শাখার ভাইস-প্রেসিডেন্ট সাঈদ আল ইমরান, মিডিয়া উপদেষ্টা এনায়েত ফেরদৌস।

অতিথিরা ওয়ালটন হাইটেক সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে একটি করপোরেট ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে ওয়ালটনের সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ সমৃদ্ধ রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ও ওয়াশিং মেশিন ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন অতিথিরা।

কারখানা পরিদর্শন শেষে ইরাকের হেড অব মিশন আবদুলসালাম সাদ্দাম মোহাইসেন বলেন, ইরাকে টিভি, ওয়াশিং মেশিন রফতানি শুরুর মাধ্যমে ওয়ালটন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও উৎসাহিত করেছে। আশা করি, ভবিষ্যতে ইরাকের বাজারে ওয়ালটন পণ্য রফতানির পরিমাণ বাড়বে। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো ও সহায়তায় বিজনেস কনসোল গড়ে তুলতে ইরাক ও বাংলাদেশ দূতাবাস যৌথভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি।

ইরাকের ডেপুটি হেড অব মিশন মোহানাদ আল দারাজি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পণ্য উৎপাদনে ওয়ালটন বিশ্বের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজ স্থাপন করেছেন। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের পণ্য রফতানি হচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ইরাকের বাজারে ওয়ালটন পণ্যের রফতানির পরিমাণ বাড়াতে দূতাবাস সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

ওয়ালটন আইবিইউ শাখার প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড কিম বলেন, বিশ্বের অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ড হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ওয়ালটন। এই লক্ষ্য পূরণে আমরা বিশ্বব্যাপী ওয়ালটনের ব্র্যান্ড বিজনেস ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইরাকে ওয়ালটন ব্র্যান্ড লোগেতে টিভি ও ওয়াশিং মেশিন রফতানি শুরু হলো। ভবিষ্যতে ইরাকে ব্যবসায়িক অংশীদারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ওয়ালটনের একটি নিজস্ব ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

সারাবাংলা/টিআর

ইরাকে পণ্য রফতানি ওয়ালটন