Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্ষণের পর জ্যোৎস্নাকে হত্যা, ফার্মেসি মালিকের দোষ স্বীকার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১ মার্চ ২০২২ ২২:১৪ | আপডেট: ১ মার্চ ২০২২ ২২:১৬

প্রধান আসামি ও ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ, ছবি: সারাবাংলা

সুনামগঞ্জ: জেলার জগন্নাথপুরে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করার পর হত্যা করে মৃতদেহ ৬ টুকরো করে তা গুম করার চেষ্টা করেন বলে দোষ স্বীকার করে করেছেন প্রধান আসামি ও জগন্নাথপুরের অভি মেডিকেল হল ফার্মেসির মালিক জিতেশ চন্দ্র গোপ।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিকেলে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে সুনামগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মাহবুবুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে প্রধান আসামি ১৬৪ দ্বারা জবানবন্দী প্রদান করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

লিটন দেওয়ান বলেন, শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি জিতেশ চন্দ্র গোপ দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ দ্বারা জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাটানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে গত রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুর রহিমের আদালতে মামলাট তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) পরিদর্শক লিটন দেওয়ান তিন আসামির ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে আদালত তাদের ৮দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ৮ দিনের রিমান্ড শেষে গত রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত জাহানের আদালতে হাজির করে আবারও তদন্তকারী কর্মকর্তা তিন আসামির আরও ৮ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিন আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে জগন্নাথপুরের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নাকে (৩৫) কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে গভীর রাতে ফার্মেসির ভেতর তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি প্রকাশ করার কথা বলায় শ্বাসরোধে শাহনাজকে হত্যা করে লাশ ৬ টুকরা করা হয়। পরে লাশ গুমেরও পরিকল্পনা করে ধর্ষকরা। পরদিন গত ১৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টের ব্যারিস্টার মির্জা আব্দুল মতিন মার্কেটের তালাবদ্ধ অভি মেডিকেল হল থেকে শাহনাজ পারভীন জ্যোৎস্নার খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই হেলালউদ্দিন বাদী হয়ে ১৭ ফেব্রুয়ারি জগন্নাথপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

রাজধানী ও সুনামগঞ্জে অভিযান চালিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার শাহনাজ হত্যার মূল তিন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সারাবাংলা/এনএস

ধর্ষণ সুনামগঞ্জ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর