রাজধানীতে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:১৪ | আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১২:২৭
ঢাকা: রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়া এলাকায় মিতু আক্তার (১৭) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিতু।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মেরাদিয়া জামতলা কবরস্থান রোডের তৃতীয় তলার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
মৃত মিতু নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মনির হোসেন ও হোসনে আরা বেগম দম্পতির মেয়ে। স্বামী সিএনজি অটোরিকশা চালক সজিবের সঙ্গে ওই বাসায় ভাড়া থাকত সে।
খিলগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোনিয়া পারভীন জানান, ট্রিপল নাইনের মাধ্যমে খবর পেয়ে মেরাদিয়ার বাসা থেকে মিতুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় বাসায় লোহার এঙ্গেলের সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল এবং দরজাটি খোলা ছিল।
তিনি জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য ও ঝগড়ার কারণে রাত পৌনে ১১টা থেকে পৌনে ১২টার মধ্যে রুমের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দেয় মিতু। বাসার লোকজন টের পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করে। অনেকক্ষণ সময় পেরিয়ে গেলেও দরজা না খোলায় ড্রিল মেশিন দিয়ে দরজার ভেঙে ভেতর ঢুকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় স্বামী। পরে থানায় খবর দেয়। ময়নাতদন্তের পর তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। তার স্বামী সজিবকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এদিকে মিতুর চাচা আনোয়ার হোসেন জানান, মিতুর বাবা-মা থাকে খিলগাঁও সিপাহীবাগ এলাকায়। দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়ে করে মিতু ও সজিব। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে মিতুকে তার বাবা-মা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান। ১০ মাস আগে তাকে গ্রাম থেকে আবার ঢাকায় নিয়ে আসে সজিব। এরপর পরিবারের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না মিতুর। গতরাতে তার মৃত্যুর খবর শুনতে পান তারা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন সময় সজীব মিতুকে নির্যাতন করত। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো বলতে পারছি না। তবে মিতুর মৃত্যুর বিষয়ে আমাদের সন্দেহ আছে।
সারাবাংলা /এসএসআর/এসএসএ