চট্টগ্রাম শহরে মোটরসাইকেল চুরিতে ‘কুমিল্লা চক্র’
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে মোটরসাইকেল চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগরীতে এই চক্রের সকল কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ হয় কুমিল্লার লাঙ্গলকোট থেকে।
পাঁচ মাস আগে একটি মোটরসাইকেল চুরির ভিডিও ফুটেজ দেখে দুই চোরকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে টানা তিন দিন চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে চক্রের আরও তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতার পাঁচ জন হলেন— মো. আলমগীর হোসেন (৩৭), নাহিদুল ইসলাম (২০), মো. মান্নান (৩৫), বাবলু মিয়া (৩৪) ও আব্দুল মালেক সোহাগ (২৫)। তাদের কাছ থেকে ৯টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পশ্চিম) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান সারাবাংলাকে জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি নগরীর হালিশহর থেকে আলমগীর ও নাহিদকে গ্রেফতার করা হয়। একটি মোটরসাইকেল চুরির ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় বাকি তিন জনকে।
অভিযানে কুমিল্লার লাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে তিনটি, চৌদ্ধগ্রাম থেকে চারটি ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে আরও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, পরিবহনের চালক-সহকারীর পরিচয়ে তারা চট্টগ্রাম শহরে ঘর ভাড়া নেয়। দিনের বেলায় বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে বাসার নিচে নিয়মিত রাখা মোটরসাইকেলের তথ্য সংগ্রহ করে। সুযোগ বুঝে মাত্র ২০ সেকেন্ডে চুরি করে একটি মোটরসাইকেল। এর মধ্যে প্রথম ১০ সেকেন্ড লাগে মোটর সাইকেলের লক ভাঙতে আর বাকি ১০ সেকেন্ড চাবির তার ছিঁড়ে জোড়া দিয়ে গাড়ি চালু করতে সময় লাগে।
গ্রেফতার পাঁচ জনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি আরও জানান, চট্টগ্রাম নগরী থেকে চুরির পর এসব মোটরসাইকেল ভারতের সীমান্তবর্তী কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে বিক্রি করা হয়। চুরি থেকে বিক্রি—পুরো কাজের নিয়ন্ত্রণ হয় কুমিল্লা থেকে। চক্রের মূল নেতা কুমিল্লার লাঙ্গলকোটের হান্নান। মোটরসাইকেল চুরির পর চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় নিয়ে তার জিম্মায় দেওয়া হয়। মোটরসাইকেল বিক্রি করে টাকা সংগ্রহ করে। এরপর সেই টাকা চক্রের সদস্যদের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ