Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্ণমালার স্রোত মিশেছিল বইমেলায়

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০০:০২

ঢাকা: ২১শে ফেব্রুয়ারি বা মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তাই মেলাচলাকালীন এই দিনটি থাকে পাঠক-দর্শনার্থীদের আলাদা একটি আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সৃষ্ট সন্দেহ ও সম্ভাবনার দোলাচলমুখর পরিস্থিতিতে এবারের বইমেলায় আছে খানিকটা উল্টোচিত্র। অন্যবারের তুলনায় এবার পাঠক-দর্শনার্থীদের ভিড় কম।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়— অন্যদিনের তুলনায় পাঠক-দর্শনার্থীর আনাগোনা বেশি। তবে স্টলগুলোর বিক্রয়কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অন্যবারের তুলনায় এবারের একুশে ফেব্রুয়ারিতে পাঠক-দর্শনার্থী তুলনামূলক কম।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, অন্যদিন দুপুর ২টা থেকে বইমেলা শুরু হলেও ২১শে ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এদিন সকাল ৮ থেকেই খুলে দেওয়া হয় বইমেলার দ্বার। আজকের দিনে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের বড় একটি অংশ আসে বইমেলায়। ফলে অন্যদিনের তুলনায় এদিন বইমেলাসহ আশেপাশে থাকে বাড়তি ব্যস্ততার চিত্র।

তাম্রলিপি প্রকাশনীর বিক্রয়কর্মী পারভেজ আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আজকের দিনে মেলায় মানুষজন বেশি থাকবে বলে আশা করেছিলাম। সকাল থেকে মানুষ আসছে মোটামুটি। তবে অন্যবারের মতো অত বেশি নয়। বেচাবিক্রিও সীমিত। সন্ধ্যার দিকে মানুষ বাড়বে আশা করছি।’

অন্যপ্রকাশের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘আজ মানুষ আসছে। তবে সত্যি বলতে অন্যবারের তুলনায় কম। গতকাল বৃষ্টি হয়েছে। এটা ভালো একটা দিক যে, আজ ওই আবহাওয়া নেই। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

বিজ্ঞাপন

এদিকে, একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের প্রতিটি ফটকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।

ভিড় ছিল শিশু চত্বরে

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় গতবারের মতো এবারও রাখা হয়নি ‘শিশুপ্রহর’। শিশুদের জন্য এবারও নেই আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা। তবে একুশে ফেব্রুয়ারির দুপুর বেলায় শিশু চত্বরে দেখা মিলেছে শিশু-কিশোরদের আনাগোনা। ছুটির দিনে বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরতে এসেছে অনেকেই।

ঝিঙেফুল প্রকাশনীর স্টলে ছড়ার বই উল্টে দেখতে থাকা শিশু সানোয়ারা জাহিনের চোখেমুখে উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তার মাথায়-হাতে ফুলের সাজে ফুটে উঠেছে শিশুতোষ উচ্ছ্বাস। মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে বলে জানায় সারাবাংলাকে। শিশু জাহিন বলে, ‘আমি ছড়ার বই কিনব। ভূতের বই কিনব। আরও অনেক বই কিনব।’

শিশুতোষ বইয়ের প্রকাশনী ইকরিমিকরির এক বিক্রয়কর্মী সারাবাংলাকে বলেন, ‘বইমেলায় শিশুদের আনাগোনা বরাবরের মতো বাড়তি আনন্দ জাগায়। এবারও শিশুপ্রহর নেই। তারপরও মেলায় শিশুরা আসছে। বিশেষ করে, অভিভাবকরা যে শিশুদের নিয়ে আসছেন, সেটা খুব ভালো দিক।’

ছবি: সুমিত আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট

সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম

টপ নিউজ বইমেলা ২০২২

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর