চট্টগ্রামে সাড়ে ৮ হাজার ভাসমান মানুষ পেল করোনা ভ্যাকসিন
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৩৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে আরও সাড়ে ছয় হাজার ভাসমান ও বাস্তুচ্যুত মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে প্রায় সাড়ে আট হাজার ভাসমান মানুষ ভ্যাকসিনের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছে সিভিল সার্জনের কার্যালয়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহরলাল হাজারীর তত্ত্বাবধানে রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) দেড় হাজার ভাসমান মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন।
এছাড়া নগরীর বাকলিয়া, এন এম জে কলেজ এলাকা, ষোলশহর রেলস্টেশন, ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদরাসা, বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল, আকবর শাহ ও কাটগড় এলাকার আরও প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ভাসমান দিনমজুর, কারখানা-হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মী, পরিবহন শ্রমিক ও বাস্তুচ্যুত লোকজন আছেন।
কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে আন্দরকিল্লা, লালদিঘীর পাড়, জেল রোড, কোতোয়ালি, নিউমার্কেট এলাকায় অনেক ভাসমান মানুষের বসবাস। ভাসমান লোকজনকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে। আমার এলাকায় ভাসমানভাবে বসবাসরত যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন সনদ নেই, তারা কেউ যেন বাদ না পড়েন সেজন্য আমরা তাদের বুঝিয়ে এনে ভ্যাকসিন দিয়েছি।’
নগরীর হাজারী লেইনের মন্দির প্রাঙ্গণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী। জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বী, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. এ এফ এম জাহিদ এবং চসিকের কাউন্সিলর রুমকি সেনগুপ্তা বক্তব্য রাখেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে ভাসমান-বাস্তুচ্যুত মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ওই দিন প্রথম দফায় ১ হাজার ৮৯০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন এক ডোজের বেশি দিতে হয় না। এ প্রক্রিয়ায় চট্টগ্রামে এক লাখ ভাসমান ও বাস্তুচ্যুত মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর