প্রস্তুত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার, নিরাপত্তায় বেষ্টিত পুরো এলাকা
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৫ | আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১০:০২
ঢাকা: আর মাত্র একদিন পরেই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বা একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহর। সেই প্রহর থেকেই শুরু হবে ভাষা শহিদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন। সেজন্য নতুন রঙে রাঙিয়ে তোলা হয়েছে শহিদ মিনার। মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে চলছে প্রস্তুতির শেষ পর্যায়। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় পুরো শহিদ মিনার এলাকাজুড়ে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মিনারের পাঁচটি স্তম্ভ এবং বেদি ধুয়ে-মুছে নতুন রঙে রাঙানো হয়েছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে আশেপাশের দেয়ালগুলোও রাঙানো হয়েছে। দেয়ালগুলোতে ভাষা আন্দোলনের বিভিন্ন স্লোগান এবং কবিতার পঙক্তি লিখছেন শিল্পীরা।
জানা গেছে, একুশে ফেব্রুয়ারি শহিদ মিনারের আগতদের বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন সনদ সঙ্গে আনতে হবে। প্রয়োজন সনদের তদারকি করবে করবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এছাড়া চলমান করোনা মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসমাগম এড়াতে গত বছরের ন্যায় এবারও সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচ জন এবং ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দু’জন একসঙ্গে শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। এ সময় অনুসরণ করতে হবে পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যবিধি।
একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে শহিদ মিনার এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বেড়েছে। স্থানে স্থানে পুলিশ টহল দেখা গেছে। পুলিশের বিশেষ ইউনিট সোয়াত টিমকেও শহিদ মিনার এলাকায় প্রস্তুত থাকতে দেখা গেছে। একুশে ফ্রেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতকারীরা যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকার মেস, হোটেল ও হোস্টেলগুলোতে আজ রাতে পুলিশ তল্লাশি চালাবে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া ডগ স্কোয়াড ও বোম ডিস্পোজাল ইউনিটও প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা যাতে নাশকতা করতে না পারে, সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের মেস-হোস্টেল-হোটেলগুলোতে আজ রাতে তল্লাশি চালানো হবে।’
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে জানতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেহেতু এটি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান, সেহেতু অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বড় আঙ্গিকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) ও র্যাবের নিরাপত্তা বলয় শহিদ মিনার এলাকায় থাকছে। এছাড়া পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় রাখা হয়েছে।’
ছবি: সুমিত আহমেদ, স্টাফ ফটো করেসপন্ডেন্ট
সারাবাংলা/আরআইআর/পিটিএম