বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:০৪ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:৪১
বিখ্যাত সংগীত শিল্পী ও সুরকার বাপ্পি লাহিড়ীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই বাংলার জনপ্রিয় এই সংগীত শিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মুম্বাইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাপ্পি লাহিড়ী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে সঙ্গীতাঙ্গনের তিন মহিরুহকে হারাল ভারত তথা উপমহাদেশ। গত ৬ ফেব্রুয়ারি পরপারে পাড়ি জমান সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর, ৯ দিন পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চিরবিদায় নেন গীতশ্রী খ্যাত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। এরমাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ভক্তদের শুনতে হলো বাপ্পি লাহিড়ীকে হারানোর খবর।
আরও পড়ুন:
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের জীবনাবসান
সুরসম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর আর নেই
গত বছর এপ্রিল মাসে করোনায় আক্রান্ত হন বাপ্পি লাহিড়ী। সেই সময় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন। মঙ্গলবার মধ্যরাতে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ)-তে আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন:
লতা, সন্ধ্যার পর এবার বাপ্পি লাহিড়ীর বিদায়
১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে অন্যতম জনপ্রিয় নাম বাপ্পি লাহিড়ির। হিন্দিতে ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, বাংলায় অমর সঙ্গী, আশা ও ভালবাসা, আমার তুমি, অমর প্রেম প্রভৃতি ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তার শেষ গান ‘বাগি- ৩’।
ভারতের আরেক বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কিশোর কুমার ছিলেন বাপ্পির মামা। বাবা অপরেশ লাহিড়ি ও মা বাঁশরী লাহিড়ি— দু’জনেই সঙ্গীত জগতের মানুষ। ফলে একমাত্র সন্তান বাপ্পি ছেলেবেলা থেকেই গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। মা, বাবার কাছেই পান প্রথম গানের তালিম। মা-বাবা নাম দিয়েছিলেন অলোকেশ, কিন্তু জনপ্রিয়তা পান বাপ্পি নামে।
১৯৫২ সালের ২৭ নভেম্বর জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাপ্পি। বাপ্পি লাহিড়ী রাজনীতিতেও নেমেছিলেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে ভোটেও লড়েছিলেন।
সারাবাংলা/এএম