৬২ স্কুল চলবে পরীক্ষামূলক নতুন পাঠ্যক্রমে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৪ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:০৪
ঢাকা: করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষে ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬২ স্কুলে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন পাঠ্যক্রমে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) এক কর্মশালায় মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাধ্যমিক স্তরের ৬২ প্রতিষ্ঠানে নতুন পাঠ্যক্রমের ‘পাইলটিং ক্লাস’ চলবে। নতুন পাঠ্যক্রমে অভ্যস্ত করতে শিক্ষকদের ধাপে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ২০২৫ সালে এ পাঠ্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। তার আগে ভুল ভ্রান্তি থাকলে তা সংশোধন করতেই এই উদ্যোগ।
শিক্ষণ প্রক্রিয়াকে আনন্দময় করে তুলতে নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলে, এতে পড়ার চাপ-মানসিক চাপ কমে যাবে; যা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তি এবং কর্ম জীবনে কাজে আসবে।
কর্মশালায় উপস্থিত হয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, শুধু পাঠ্যক্রম পরিবর্তন করলে হবে না। তা বাস্তবায়নের সক্ষমতা তৈরি করতে হবে। নতুন পাঠ্যক্রমে গ্রামের শিশুদের সঙ্গে শহরের শিশুদের যেন বৈষম্য তৈরি না হয় সেদিকে নজর দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, শিক্ষাজীবন আনন্দময় করতে নতুন পাঠ্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো করে তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারে সেভাবে তাদেরকে তৈরি করা হবে।
অন্যান্যদের মধ্যে শিক্ষাবিদ সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের স্মৃতি নির্ভর মুখস্তবিদ্যা থেকে বেরিয়ে যুক্তি ও বিশ্লেষণ নির্ভর শিক্ষার দিকে নিয়ে আসতে নতুন কারিকুলাম বড় ভূমিকা রাখবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের যে স্কুলগুলোতে নতুন পাঠ্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে এরকম ১১৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এনসিটিবির আওতায় সব শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এজন্য কিছু শিক্ষককে তৈরি করা হবে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে। যারা অন্যান্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেবেন।
সারাবাংলা/টিএস/একেএম