ইউক্রেন সংকট: আলোচনা করবেন বাইডেন-পুতিন
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৪ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৩৬
ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট সংলাপে বসছেন। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) টেলিফোনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আলোচনা করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো মনে করছে, ইউক্রেনে হামলার জন্য সবরকম প্রস্তুতি শেষ মস্কোর। যে কোনো সময় পূর্ণ হামলার আদেশ দিতে পারেন পুতিন। হামলা আশঙ্কায় ইউক্রেন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপানসহ আটটি দেশ। এমন অবস্থায় পুতিনের সঙ্গে সংলাপে বসছেন বাইডেন।
হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ফোনালাপটি আগামী সোমবার করার অনুরোধ করেছিলেন পুতিন। তবে উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে শনিবারই আলোচনা চেয়েছেন বাইডেন।
আরও পড়ুন-
- ইউক্রেনকে কি এবার বাঁচিয়ে দেবে রাসপুতিৎসা?
- আমেরিকার অস্ত্র প্রতিযোগিতার নিন্দা করলেন শি-পুতিন
- যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ ৮ দেশের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান
উল্লেখ্য যে, ইউক্রেন ইস্যুতে এর আগেও কয়েকবার ফোনালাপ করেছিলেন বাইডেন-পুতিন। গত ডিসেম্বরে দুই নেতা দুইবার ফোনে আলোচনা করেন। তবে ডিসেম্বরের পরে তারা আর কোনো আলোচনা করেননি। ডিসেম্বরের ফোনালাপে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আশা করা হয়েছিল। তবে জানুয়ারি মাস জুড়ে ইউক্রেনের তিন দিকে কেবল শক্তি বৃদ্ধি করে আসছে মস্কো। ফলে কূটনৈতিক সমাধানের পথ দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে আসছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, ইউক্রেন হামলা থেকে পুতিনকে নিবৃত্ত করতে উত্তেজনা প্রশমনের বার্তা নিয়ে গত সপ্তাহে রাশিয়া উড়ে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে ওই বৈঠকেও উল্লেখযোগ্য কোনো ফল আসেনি। তারও আগে, ইউক্রেন ইস্যুতে তিনবার পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন ম্যাখোঁ। মস্কো সফরের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গেও ৪০ মিনিট টেলিফোনে কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন
- ‘তাইওয়ান ইস্যুতে চীন-মার্কিন যুদ্ধ হতে পারে’
- রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠিয়েছে আমেরিকা
- চীন-তাইওয়ান, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত— ২ ফ্রন্টে যুদ্ধ করবে আমেরিকা?
প্রসঙ্গত, ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন সদস্য রাষ্ট্র ইউক্রেন যেন ন্যাটোতে যোগ না দেয় এমন নিশ্চয়তা দাবি করে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে মস্কো। ইউক্রেনের মিত্র যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, রাশিয়া যে কোনো সময় সামরিক হামলা চালাতে পারে।
তবে রাশিয়া বরাবরই বলে আসছে, সামরিক হামলা চালানোর কোনো উদ্দেশ্য নেই। যদিও ইউক্রেন সীমান্তে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের সব রকমের প্রস্তুতি নিয়ে অবস্থান করছে রুশ সামরিক বাহিনী। এছাড়া চলতি সপ্তাহে ভূমধ্যসাগর ও প্রতিবেশী বেলারুশে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে মস্কো—যা ইউক্রেনে হামলার চূড়ান্ত প্রস্তুতি বলে মনে করছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো।
আরও পড়ুন-
- ন্যাটো কী এবং কখন কাজ করে
- ইউরোপের যেসব জায়গায় ন্যাটো বাহিনী মোতায়েন
- রুশ আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপে শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো
- রুশ হামলার সম্ভাব্য তারিখ জানালেন ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেল
সারাবাংলা/আইই