Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে প্রথম ইয়াবা মামলার রায়, দুই ভাইসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:০৭ | আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:২৩

ঢাকা: ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় করা দেশের প্রথম ইয়াবার মামলার রায়ে দুই ভাইসহ ৫ জনের বিভিন্ন মেয়াদের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে মাদক বিক্রির জব্দ করা দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও দুইটি মোবাইল সেট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পরিবেশ আপিল আদালত (বিশেষ দায়রা আদালত) এর বিচারক এস এম এরশাদুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এটি দেশে প্রথম দায়ের করা ইয়াবা মামলার রায়।

আসামিদের মধ্যে জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর তিন আসামি পলাতক আছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার ছোটপাড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল, তার ভাই সফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মরহুম অনু মাস্টারের ছেলে সামছুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও তানার মোগড়াপাড়া গ্রামের বাদল সাহার ছেলে সোমনাথ সাহা ওরফে বাপ্পী এবং ডেমরা থানার মাতুয়াইল মৃধা বাড়ির মোজাম্মেল হকের ছেলে এমরান হক ।

এদের মধ্যে সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আর ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া মাদক আইনের আরেক ধারায় তাকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অপর চার আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

অভিযোগে থেকে জানা যায়— ২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সফিকুল ইসলামের গুলশান থানাধীন নিকেতনের বাসায় তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, হেরোইন সেবনের তিনটি পাইপ, দুই পিস যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ১২০ পিস মরফিন ও অ্যামফিটামিনযুক্ত মাদক বিক্রির দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১ টি পর্ণ সিডি, দুইটি মোবাইল সেট জব্; করে। এ ঘটনায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট এ মামলার আসামি মোসফিক রহমান ওরফে তমালের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম কোয়াশ করেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই্/একে

ইয়াবার মামলা কারাদণ্ড টপ নিউজ পরিবেশ আদালত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর