কোটায় ভর্তিতে ‘বৈষম্য’, ঢাবি প্রশাসনকে আইনি নোটিশ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:১৬ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:১০
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ভর্তিতে নানান বৈষম্যের অভিযোগ এনে একজন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী মোহাইমিনুলের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রশাসনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম নোমান হোসাইন তালুকদার।
পরবর্তী তিন কার্য দিবসের মধ্যে বিষয়টি সমাধান না হলে উচ্চ আদালতে রিট করবেন বলে জানান ওই আইনজীবী।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাবি উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), রেজিস্ট্রার এবং কলা অনুষদের ডিন বরাবর ওই নোটিশ পাঠানো হয়।
ওই নোটিশে বলা হয়, কোটায় ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বিষয় পর্যায়ক্রমের ফরমে পছন্দের বিষয়টি সর্বনিম্নটি হলেও মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের দেওয়া হবে। কিন্তু, পরবর্তী সময়ে সাক্ষাৎকারের দিন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের জন্য এই শিক্ষার্থীকে মনোনীত করা হয়। যদিও তার বিষয় পছন্দক্রম ফরমে ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিষয়টিই ছিল না। অন্য বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটার আসন খালি থাকার পরেও তাকে এই বিষয়ে ভর্তি হতে বলা হয়।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণির খ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় ১১৯টি আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু, বিভিন্ন কারণবশত ওপরের মেধাক্রমের কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি। যার প্রেক্ষিতে ফাঁকা আসনে পছন্দক্রমের বিষয় অনুযায়ী ভর্তি অথবা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মনোনীতদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দিতে মৌখিক ও লিখিত আবেদন করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা অগ্রাহ্য করে। যদিও সাধারণ কোটায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরাও এই সুবিধা পেয়ে থাকেন।
নোটিশে পছন্দক্রমের সর্বনিম্ন বিষয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা কোটার জন্য বরাদ্দকৃত ১১৯ আসন পূর্ণ ও অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
এদিকে ওই আইনি নোটিশ এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের নোটিশ এখনও পাইনি। এ ছাড়া এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি প্রক্রিয়া ডিন হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই শেষ হয়েছে।’
নোটিশ প্রসঙ্গে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে ফোন করা হলেও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি।
সারাবাংলা/আরআইআর/একেএম