‘মির্জা ফখরুলের বড় গুণ— আস্থার সঙ্গে অবলীলায় মিথ্যা বলতে পারেন’
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:২৮ | আপডেট: ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আস্থার সঙ্গে অবলীলায় মিথ্যা বলতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে চিঠি দেওয়া নিয়ে বিএনপি মহাসচিবের ‘মিথ্যাচারে’ রাজনীতিবিদ হিসেবে নিজেও লজ্জা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বড় গুণ হলো তিনি আস্থার সঙ্গে অবলীলায় মিথ্যা বলতে পারেন। আমরা বললাম, ফখরুল সাহেব দেশে সাহায্য বন্ধ করার জন্য, দেশের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে দেশদ্রোহিতামূলক কাজ করেছেন। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বললেন, দেশের বিরুদ্ধে কোনো চিঠি তিনি দেননি। এরপর সেই চিঠির কপি আমরা গণমাধ্যমের সামনে দেখালাম এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দিলাম। এবার কিন্তু তাদের আর কোনো জবাব নেই। এভাবে একটি দলের মহাসচিব মিথ্যাচার করতে পারেন দেখে এবং শুনে একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে আমি নিজেও সত্যিই লজ্জিত।’
সার্চ কমিটি গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্যই সরকার সার্চ কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু ওনারা (বিএনপি) তো সিদ্ধান্ত নিয়েই বসে আছেন, কোনো নির্বাচনে যাবেন না। এভাবে ‘না’ বলতে বলতে তারা যে ভবিষ্যতে কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেটিই আমার প্রশ্ন। যে রাজনৈতিক দল জনগণের ওপর নির্ভর করে, সেই দল কখনো নির্বাচন ছাড়া টিকে থাকতে পারে না, বেঁচে থাকতে পারে না। বিএনপি যে ভুল করছে, সেটা আত্মহননের মতো।’
অন্ধ সমালোচনা না করার অনুরোধ করে মন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দায়িত্বে থাকলে অবশ্যই সমালোচনা হবে। আম পাকলে গাছে ঢিল পড়বেই। যেখানে আম পাকে না সেখানে ঢিল কেউ মারে না। কিন্তু সমালোচনা যেন অন্ধ এবং বধিরের মতো না হয়। সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও যেন করা হয়। এই সরকার সাংবাদিকদের জন্য কী করেছে, কী করে যাচ্ছে, অতীতে এটি হয়েছে কি না— এগুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।’
‘অনেক সাংবাদিক প্রেস ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে মিটিং-মিছিল করেন। সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে এসব কিন্তু দেখা হয়নি। যারা প্রকৃতই সহায়তা পাওয়ার যোগ্য, তারা পেয়েছেন। আমরা মনে করি, সমালোচনা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক,’— বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এরপর তথ্যমন্ত্রী চট্টগ্রামের ১০৪ জন সাংবাদিকের মাঝে সহায়তার চেক তুলে দেন। চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক সবুর শুভ’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ্র বাদল, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কলিম সরওয়ার, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদুল আলম এবং সিইউজের সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর