কলেজ পরিচালনায় অ্যাডহক কমিটি গঠনের আদেশ, প্রত্যাহার চান শিক্ষকরা
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২৩:৫৩ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৪৭
ঢাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজের জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশ কোনো ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে জানিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। অনতিবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির আহ্বায়ক অধ্যাপক অলিউল্লাহ্ মো. আজমতগীর ও সদস্য সচিব সৈয়দ জাফর আলীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানায় সংগঠনটি।
এর আগে, একইদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) ফাহিমা সুলতানার সই করা এক আদেশে কলেজগুলোর জন্য অ্যাডহক কমিটি গঠনের নির্দেশনা জারি করা হয়।
ওই নির্দেশনায় বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯২ সনের ৩৭ নম্বর আইনের ধারা ৪০ উপধারা (২)-এ উল্লেখ রয়েছে ‘প্রত্যেক কলেজ একটি গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত হইবে এবং ওই গভর্নিং বডির গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী সংবিধি দ্বারা নির্ধারিত হবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর গভর্নিং বডি (সংশোধিত) সংবিধি ২০১৯ এর ধারা ৪ (ক) মোতাবেক ‘প্রত্যেক অধিভুক্ত কলেজ (সরকারি ও বেসরকারি) নিয়মিতভাবে গঠিত একটি গভর্নিং বডি দ্বারা পরিচালিত হইবে’। বিধায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি কলেজে বিধি মোতাবেক একটি অ্যাডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে একই সংবিধির ধারা ৬ (ক) অনুযায়ী অ্যাডহক কমিটির প্রস্তাব পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতি একই দিন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকারি কলেজগুলো সরাসরি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিচালিত হয়। এসব কলেজে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করেন। যাদের নিয়োগ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পিএসসির সুপারিশের ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কর্তৃক হয়। এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় পদায়ন করে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা আরও জানায়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৯২ সালের ৩৭ নম্বর আইন ধারা-২৪, উপধারা-২, বেসরকারি কলেজের জন্য প্রণীত। এ বিধি কোনোভাবেই সরকারি কলেজের জন্য প্রযোজ্য নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক নম্বর- ০৭ (১৫৩২) জা.বি./ক.প./৫৩০৩৪, তারিখ: ০৬/০২/২০২২ অনুযায়ী সরকারি কলেজের জন্য অ্যাডহক গঠনের নির্দেশ কোনোক্রমেই বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে তারা অনতিবিলম্বে এ আদেশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানায়।
সারাবাংলা/পিটিএম