Wednesday 22 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নয়াপল্টনে নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার অভিযোগ রিজভীর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৩৯ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:২৭

ঢাকা: রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া, রাত সাড়ে ৮ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ ) বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনুকে পুলিশ আটক করে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ তার।

রোববার (৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব অভিযোগ করেন।

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর পরই নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পুলিশ বিনা উসকানিতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে। হামলায় বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে।’

‘কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশের এই হামলা কাপুরুষোচিত ও পূর্ব পরিকল্পিত। বিএনপি’র কর্মসূচিতে পুলিশি হামলা আওয়ামী শাসকগোষ্ঠীর চিরচেনা সংস্কৃতি’- বলেন রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার পর রাত ৮ টার দিকে বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে দলীয় কার্যালয় থেকে বের হলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব ও গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি থেকে মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী রফিকুল আলম মজনুকে আটক করে পুলিশ।’

রিজভী বলেন, ‘পুলিশের সহিংস তাণ্ডবের মূল উদ্দেশ্যই ছিল বাংলাদেশ যে একটি পুলিশি রাষ্ট্র তা জানান দেওয়া। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ছোবলে গোটা দেশকে আক্রান্ত করা হয়েছে। এরপরেও কেউ যাতে টু শব্দ করতে না পারে সেজন্য পুলিশ প্রতিনিয়ত তাদের পেশী প্রদর্শন করে যাচ্ছে। আজকের ঘটনা সেটিরই একটি বর্ধিত রূপ।’

বিজ্ঞাপন

 

বিএনপির এই নেতা বলেন, বিরুদ্ধ মত উত্থাপনের কোনো পথ না রাখা, বিরোধীদলকে উৎপীড়নের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখা, মুক্তকণ্ঠের ব্যক্তির বাকস্বাধীনতার ওপর আক্রমণ করা এবং কালাকানুনের বিষাক্ত বৃত্তের মধ্যে মানুষের নাগরিক অধিকারকে বন্দী করে রাখতেই সরকার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্লজ্জভাবে ব্যবহার করছে। মানুষের গণতান্ত্রিক সহজাত অধিকারগুলোকে নির্দয় দমনের কষাঘাতে শয্যাশায়ী ও মরণাপন্ন করেছে সরকার। মানুষের সমষ্টিগত ভবিষ্যতকে ধ্বংস করে এক চিরস্থায়ী ক্ষমতাবলয় তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে তারা।’

তিনি জানান, রফিকুল আলম মজনু ছাড়াও শ্যামপুর থানা বিএনপি নেতা কাজী ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম বাশার, মুগদা থানা বিএনপি’র সদস্য মো. মজিবর, ছাত্রদলের স্টাফ মুন্নাসহ ২০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

রিজভীর অভিযোগ, পুলিশি হামলায় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক আকরাম আহমেদ, তাইফুর রহমান ফুয়াদসহ ১৫ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হয়। বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রায় ৩০/৩৫টি মোটরসাইকেল উঠিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ বিএনপি রুহুল কবীর রিজভী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর