বইমেলা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি, শেষ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেই
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৯ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:১৯
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ পিছিয়ে আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলার উদ্বোধন করবেন। তবে মেলা কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাতে পারেনি বাংলা একাডেমি।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এক চিঠিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি জানিয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সচিব এ এইচ এম লোকমান বলেন, আমরা বইমেলা শুরুর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছি। চিঠিতে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন। তবে মেলা কবে শেষ হবে, সে বিষয়ে চিঠিতে কিছু জানানো হয়নি। ধারণা করছি, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা চলবে।
সরকারের যুগ্মসচিব পদমর্যাদার এই কর্মকর্তা সারাবাংলাকে আরও বলেন, বইমেলা আয়োজনের বিষয়টি করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত। সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে মেলার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত আসবে।
আরও পড়ুন- বইমেলা— প্রকাশকরা চান ১ মাস, একাডেমি চায় ১৪ দিন
এর আগে, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে পিছিয়ে যাওয়া অমর একুশে বইমেলা ১৫ ফেব্রুয়ারি শুরু করে ১৭ মার্চ পর্যন্ত চালানোর প্রস্তাব দিয়েছিল প্রকাশক সমিতি। ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রকাশকদের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ওই দিন অবশ্য বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক সারাবাংলাকে জানিয়েছিলেন, একাডেমি ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেলা আয়োজন করতে চায়। দুইটি প্রস্তাবই সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
এর আগে, গত ১৬ জানুয়ারি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বইমেলা হবে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে মেলা দুই সপ্তাহ পেছানোর কথা জানানো হয় ওই সময়। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় মেলার মতো আয়োজন না হলেই ভালো।
গত বছরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা আয়োজন করতে পারেনি বাংলা একাডেমি। পরে মেলা শুরু হয় ১৮ মার্চ। বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছিল এই বইমেলা। পরে সরকার দ্বিতীয় দফায় বিধিনিষেধ জারি করলে মেলার সময়সীমা কমিয়ে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা করা হয়। পরে আবার মেলা চালানো হয় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত ১২ এপ্রিল মেলা বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
অনেকটা ‘খর্বকায়’ আয়োজনের বইমেলা নিয়ে প্রকাশকরা গত বছর মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেননি। অনেক প্রকাশক মেলায় তাদের স্টল তৈরির খরচও তুলতে পারেননি বলেও জানান। তাদের হিসাব বলছে, গোটা বইমেলায় বিক্রি হয় মাত্র চার কোটি টাকার বই। এতে প্রকাশকদের ক্ষতি হয় আনুমানিক ৯৬ কোটি টাকার।
আরও পড়ুন-
- বইমেলার শেষ হচ্ছে ১২ এপ্রিল
- শঙ্কা ছাপিয়ে শুরু প্রাণের বইমেলা
- বিবর্ণ সময়েও জাগুক বইয়ের উৎসব
- ‘নিউ নরমাল’ বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ
- বন্ধ হচ্ছে না, উল্টো সময় বাড়ল বইমেলার
- ঝড়-করোনায় অগোছালো হয়ে পড়েছে বইমেলা
- বইমেলায় প্রকাশকদের গচ্চা গেছে ৯৬ কোটি টাকা
- করোনাভাইরাসের শঙ্কা ছাপিয়েই শুরু হলো বইমেলা
- ‘বইয়ের আবেদন মুছে যাবে না, ডিভাইসে হলেও পড়ুন’
- খুশির ঝলক প্যাভিলিয়নে, ক্ষতির আশঙ্কায় ছোট প্রকাশকরা
সারাবাংলা/একে/টিআর
অমর একুশে গ্রন্থমেলা টপ নিউজ বইমেলা বইমেলা ২০২২ বাংলা একাডেমি