বাণিজ্যমেলায় ১৩৮ কোটি টাকার রফতানি আদেশ
৩১ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৯ | আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ২০:২০
ঢাকা: ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) ২৬তম আসর থেকে ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১৩৮ কোটি টাকার রফতানি আদেশ এসেছে। এবারের মেলায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। আর মেলা থেকে সরকার ভ্যাট আদায় করেছে দেড় কোটি টাকা।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মনশি।
বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ কে এম আহসান, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যরা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মেলায় ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্যের রফতানি আদেশ এসেছে। এসময় আনুমানিক মোট ৪০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। এ বিক্রি থেকে এক কোটি ৫০ লাখ টাকার ভ্যাট আদায় করা হয়েছে।
এদিকে, মেলায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ১২ ক্যাটাগরিতে ৪২ জন্য অংশগ্রহণকারী এবং বিভিন্ন দফতরের ১০ জন কর্মকর্তাকে ও ২৭ সংস্থাকে পদক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সার্বিক অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতি সচল রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বুঝতে পেরেছিলেন, পাকিস্তানের অধীনে থেকে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব আমরা দেশ স্বাধীন করেছি। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অর্থনৈতিক মুক্তি পাচ্ছে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, একসময় বিদ্যুতের অভাবে দেশে শিল্প ও কলকারখানা স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। আজ বাংলাদেশ বিদ্যুতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে এবার নতুন ক্যাম্পাসে বাণিজ্যমেলা খুবই সফল হয়েছে। তবে মেলার আশপাশে আরও জায়গা বরাদ্দ রাখা উচিত। বাণিজ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে মেলার জন্য আরও জায়গা বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। আগামী বছর মেলা আয়োজনে যেন আরও ভালো পরিকল্পনা থাকে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, অনেক প্রতিকূল পরিবেশে মধ্যে এবারের বাণিজ্যমেলা শেষ হলো। দেশের রফতানি বাড়ানোর জন্য সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এ বছর ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি করা সম্ভব হবে। ২০২৪ সালে দেশের রফতানি ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এই লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তখন এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে আমাদের অনেক বাণিজ্য সুবিধা থাকবে না। আমাদের প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যেতে হবে। তখন পিটিএ অথবা এফটিএ সই করে বাণিজ্য সুবিধা নিতে হবে। চলতি বছর আমরা চারটি দেশের সঙ্গে এ বাণিজ্য চুক্তি সই করার জন্য কাজ করছি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর
গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক টপ নিউজ ডিআইটিএফ বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বাণিজ্যমেলা রফতানি আদেশ