ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট
২৯ জানুয়ারি ২০২২ ২০:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। আটকা পড়েছে শতশত যানবাহন। অসংখ্য যাত্রী দুর্ভোগে পড়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মহাসড়কের একপাশ বন্ধ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংস্কার কাজ চালানোর কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে যানজট শুরু হলেও বিকেলে যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সেটা তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে একটি কাভার্ডভ্যান রাস্তায় বিকল হয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে।
হাইওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, সকাল ৯টার দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কে সীতাকুণ্ডের মাদামবিবিরহাট এলাকায় নৌ বাহিনী গেট থেকে আবুল খায়ের কারখানার গেট পর্যন্ত সড়ক সংস্কার শুরু করে। এজন্য মহাসড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। চালু থাকা মহাসড়কের একপাশ দিয়ে গাড়ি আসা-যাওয়া করতে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের সংস্কার কাজ শেষ করে। এসময় মহাসড়ক খুলে দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকা যানবাহনের চাপ সামাল দিতে বেগ পেতে হয় পুলিশকে। যানবাহন পুরোপুরি চালু হওয়ার আগেই সন্ধ্যার দিকে সীতাকুণ্ডের জলিল গেট এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান বিকল হয়ে যায়। এতে উভয়পাশে যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে।
জানতে চাইলে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী নাজমুল হক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা মোটামুটি গাড়ির চাপ সামলে মহাসড়ক স্বাভাবিক করছিলাম। এর মধ্যে একটি কাভার্ডভ্যান রাস্তার মাঝখানে বিকল হয়ে পড়েছে। এরপর দুই পাশে গাড়ির আরও বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। আমরা বিকল গাড়িটি সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের অস্বাভাবিক চাপ আছে।’
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দীন খালেদ চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মহাসড়কে ৬৬ কিলোমিটার এলাকায় পর্যায়ক্রমে সংস্কার কাজ করব। গত সপ্তাহে আমরা বড়তাকিয়ায় পরীক্ষামূলক সংস্কার কাজ করেছি। আজ (শনিবার) মাদামবিবিরহাটে ১৫০ মিটার অংশে করেছি। এখন কাজ করতে গেলে যানজট হবেই। আমরা সেটা আগেই স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে নোটিশ করেছি। আমরা রাতে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু রাতে যানবাহনের চাপ আরও বেশি থাকে। আমরা ৪টায় কাজ শেষ করার পর গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাভার্ড ভ্যান একটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় আবার সমস্যা হয়েছে।’
সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়ায় প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে আটকে থাকা বিএসআরএম’র একটি কারখানার কর্মকর্তা এস এম আবু ইউসুফ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তিন ঘণ্টা গাড়িতে বসে থেকে দুই কিলোমিটার পার হতে পারিনি। ১০-১৫ মিনিট পর পর কয়েক ইঞ্চি করে গাড়ি চলছে। রাস্তায় শত, শত গাড়ি। সবগুলোই ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে।’
সারাবাংলা/আরডি/একেএম