Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢামেক হাসপাতালে ১ বছরে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৫ লাখ মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৫ | আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪৯

ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) গত ১বছর ৫ লাখ করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক টিটো মিঞা, কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলমসহ কর্মকর্তারা।

পরিচালক বলেন, ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড-১৯ অতিমারিতে ডেডিকেডেট কোভিড হাসপাতাল হিসেবে ঢামেক হাসপাতাল অতি দক্ষতার সঙ্গে কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এ ছাড়া কোভিড ১৯ প্রতিরোধে সরকার নির্দেশনা অনুযায়ী কোভিড ভ্যাকসিন কার্যক্রস পরিচালনা করে আসছে। গতকাল ২৮ জানুয়ারি ভ্যাকসিন কার্যক্রমের এক বছর পূর্ণ করেছি। একবছরে আমরা পাঁচ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দিয়েছি যা আমাদের জন্য একটি মাইলফলক।’

পরিচালক বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশের একটি স্বনামধন্য সর্ববৃহৎ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান। এখানে বছরেরর ৩৬৫ দিনই ২৪ ঘণ্টা জরুরি ও আন্তঃবিভাগে সেবা দেওয়া হচ্ছে। দেশের আপামর সুচিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এখন একটি আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক।’

পরিচালক বলেন, ‘দেশের জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা দৌড় গোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের স্বাস্থ্য খাতে বিভিন্ন ঐতিহাসিক সাফল্যের ধারাবাহিকতা রক্ষায় দেশের এই বৃহত্তম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল একটি বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক।’

বিজ্ঞাপন

পরিচালক বলেন, ‘জরুরি বিভাগে রোগীদের চিকিৎসার জন্য দুই তিন মাসের মধ্যে জরুরি কমপ্লেক্স তৈরি করা হবে। যেখানে বেশ সংখ্যক বেড থাকবে।’

বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো জরুরি বিভাগে এলোমেলোভাবে থাকে। হাসপাতালের ভেতরে যেন কোনো প্রকার অ্যাম্বুলেন্স না থাকে বিষয়টি মনিটরিংয়ের জন্য একটি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার বলেন, ‘দুই বছর বৈশ্বিক মহামারির মধ্যে আছি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে কোভিডসহ সব ধরনের রোগীকে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু এই হাসপাতাল থেকে কখনও রোগী রেফার্ড করা হয় না।’

মতবিনিময় সভায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এক বছরে অভূতপুর্ব অবদান রেখেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ যে অবদান রেখেছে কা অভাবনীয়।’

টিটো মিঞা বলেন, ‘ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল একসঙ্গে কাজ করি। কোভিডের সময় কলেজের শিক্ষকরাও কাজ করছেন।’

সারাবংলা/এসএসআর/একে

করোনাভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন ডিএমসি ঢাকা মেডিকেল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর