মৃত্যুর ২০ বছর পর নিষ্পত্তি হলো আসামির আপিল
২৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:২৯ | আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০২
ঢাকা: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার তিনটি হাটের ইজারাকে কেন্দ্র করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় স্থানীয় ১ নং বাজুবাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের ৫ বছরের সাজা হয়। ১৯৮২ সালে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর দায়ের করা মামলায় ১৯৮৭ সালে ৫ বছরের দণ্ডের পাশাপাশি ৪২ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন বিচারিক আদালত। সেই দণ্ড ও জরিমানার বিরুদ্ধে ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন সোবহান। তবে আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০০১ সালের ১৬ জুন মারা যান চেয়াম্যান সোবহান।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. আবু জাফার সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো.সোহরাওয়ারদীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আপিল নিস্পত্তি করে রায় দিয়েছেন।
আদালতে দুদকের শুনানি করেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
তিনি জানান, বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে ১৯৮৮ সালে আপিল (আপিল নং ১৮৬১৯৮৮) করেন চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান। এই আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় ২০০১ সালের ১৬ জুন মারা যান তিনি।
কিন্তু হাইকোর্টে দায়ের করা আপিলে দুদককে পক্ষভুক্ত করেননি সোবহান। পরে দুদক এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়ে শুনানিতে অংশ নেয়।
তিনি আরও জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। এই অভিযোগে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলা করে। সেই মামলায় ৫ বছরের সাজা এবং ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান সোবহান আপিলটি আজ নিষ্পত্তি হলো। তবে আপিলকারী মারা (২০০১ সালের ১৩ জুন) গিয়েছেন।
আপিলকারী মারা গেলে আইনের বিধান হচ্ছে— আপিলটা অ্যাবেট (বাদ) হয়ে যাবে দণ্ড ও সাজার ক্ষেত্রে। কিন্তু জরিমানাটা থেকে যাবে। এই জরিমানার বিষয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত আপিল মঞ্জুর করেছেন। অর্থ্যাৎ জরিমানা পরিশোধ করতে হবে না। এর মাধ্যমে আপিলের নিষ্পত্তি ঘটলো।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে