Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

পদ্মভূষণ সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করেছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৬ জানুয়ারি ২০২২ ০১:১৯ | আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৫৮

ভারত সরকারের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রথা মেনে ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আগের দিন মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) পদ্মভূষণ সম্মাননায় ভূষিতদের নাম প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ‘সামাজিক ক্ষেত্রে তার অবদান’-এর স্বীকৃতিস্বরূপ পদ্মভূষণ সম্মাননার জন্য বুদ্ধদেবের নাম ঘোষণা করে কেন্দ্র। তবে এদিন রাতেই এ সম্মাননা প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য।

বিজ্ঞাপন

পশ্চিমবঙ্গের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিবৃতিতে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘পদ্মভূষণ পুরস্কার নিয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। এ নিয়ে সরকার তাকে কিছু জানায়নি।’ তিনি বলেন, ‘যদি আমাকে পদ্মভূষণ পুরস্কার দিয়ে থাকে, তাহলে আমি তা প্রত্যাখ্যান করছি।’

তার রাজনৈতিক দল সিপিএম’র সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধির তরফ থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর বাড়িতে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে তাকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করার বিষয়টি জানানো হয়। এরপর সন্ধ্যায় পদ্ম সম্মাননায় ভূষিতদের তালিকায় বুদ্ধদেবের নাম দেখা যায়। স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্য বিষয়টি বুদ্ধদেবকে জানান। সব শোনার পর তিনি জানিয়ে দেন, এই সম্মান তিনি গ্রহণ করবেন না। পরে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এ ব্যাপারে একটি বিবৃতি দেন।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, পদ্মভূষণ প্রাপ্তির খবরটি স্বরাষ্ট্রসচিব মঙ্গলবার সকালে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্ত্রীকে ফোন করে জানান। সে সময় মিরা ভট্টাচার্য পুরস্কার গ্রহণ করে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন।

১৯৪৪ সালে উত্তর কলকাতায় জন্ম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। কিশোর কবি হিসেবে পরিচিত সুকান্ত ভট্টাচার্য তার কাকা ছিলেন। কলেজ জীবন থেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। পরে সিপিআই (এম) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য, সিপিআই (এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরে সিপিআই (এম) পলিটব্যুরোর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মন্ত্রিসভায় তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৮৭ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। ২০০০ সালের ৬ নভেম্বর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু রাজনীতি থেকে অবসর নিলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন বুদ্ধদেব। ২০০১ ও ২০০৬ সালের নির্বাচনে টানা জয় নিয়ে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন ছিলেন তিনি। ২০১১ সালের ১৯ মে পঞ্চদশ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সাধারণ নির্বাচনে পরাজিত হলে মুখ্যমন্ত্রী পদে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রায় একযুগের শাসনের অবসান ঘটে। বর্তমানে সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত নয় তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর