যেকোনো মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্তরা সিইসি-ইসি হতে পারবেন না
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:২১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৫৬
ঢাকা: জাতীয় সংসদে উত্থাপিত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে সাজাপ্রাপ্তদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি) হিসেবে নিয়োগ না দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও পেশাজীবীদের মধ্য থেকে সিইসি ও ইসি নিয়োগের বিধানের প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ‘ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ নিয়ে আলোচনা শেষে এই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে কমিটি সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: যা আছে ইসি গঠন আইনে
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার বলেন, ‘ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন এনে বিলটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। একটি জায়গায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্যতা অযোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রস্তাবিত বিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনারের যোগ্যতা অযোগ্যতার দফা ৬ এর (গ) উপ দফায় বলা হয়েছিল ‘তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি সিইসি ও ইসি হওয়ার অযোগ্য হবে।’
‘এক্ষেত্রে ছোট একটু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা দুই বছর শব্দটি বাদ দিয়েছি। এখন যেকোনো মেয়াদে সাজা হলেই তিনি অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে দণ্ড বলতে কারাদণ্ড হতে হবে।’
আরেকটি পরিবর্তন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ও পেশাজীবী (যারা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত) তাদের মধ্য থেকেও সিইসি ও ইসি হতে পারবেন। এটি আমরা যুক্ত করেছি এবং সকলে একমত হয়েছি। আশা করছি আগামী বুধবার আমি চূড়ান্ত বিলটি সংসদে উত্থাপন করব। বিল পাস হওয়ার বিষয়টি আইন মন্ত্রণালয় দেখবে। তবে আমরা আশা করছি হয়তো রিপোর্ট উত্থাপনের পরদিনই পাস হতে পারে।’
উল্লেখ্য, বহুল আলোচিত ওই বিলটি গত রোববার আইনমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইনটির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন-
- ইসি গঠনে আইনের আভাস
- ইসি গঠন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
- তাড়াহুড়ো করে ইসি আইনের পক্ষে নন আইনমন্ত্রী
- ইসি আইন প্রসঙ্গে কাদের— আমাদের হাতে ম্যাজিক নেই
- ‘ইসি নিয়োগ আইন-২০২১’ নামে সুজনের খসড়া উপস্থাপন
- ‘ইসি গঠন ও বিচারক নিয়োগ আইন সংসদে আসবে শিগগিরই’
- কমিশন গঠনে যে খসড়া অনুমোদন হয়েছে তা ‘পঁচা কদু’: বিএনপি
- আইন না হলেও ইসি গঠন নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই: আইনমন্ত্রী
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে
ইসি ইসি গঠন আইন জাতীয় সংসদ টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন সংসদীয় কমিটি সিইসি