পাকিস্তানে ভ্যাকসিন ছাড়া মসজিদে যাওয়া যাবে না
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:১১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৩৮
পাকিস্তানে করোনা মোকাবিলায় আরোপিত বিধিনিষেধ অনুযায়ী, যারা করোনা ভ্যাকসিনের পূর্ণ ডোজ নেননি তারা নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে দৈনিক সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানে প্রতিদিন গড়ে ছয় হাজার ২০৮ জন নতুন করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার যে জেলাগুলোতে করোনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশের ওপরে সেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানসহ ঘরের ভেতরের সব জমায়েত নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি স্কুল ও যেসব খেলাধুলায় শারীরিক সংস্পর্শ লাগে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
পাকিস্তানে প্রায় ১৩ শতাংশ নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে দেশটির প্রধান শহরগুলোতে এ হার অনেক বেশি। দেড় কোটি বাসিন্দার করাচি শহরে পজিটিভিটির হার ৪৬ শতাংশ রেকর্ড হয়েছে, এখানে পরীক্ষায় প্রতি ২ জনের মধ্যে এক জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হচ্ছে। রাজধানী ইসলামাবাদে করোনা শনাক্তের হার প্রায় ২০ শতাংশ এবং প্রায় প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জনকে আক্রান্ত হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ২২ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ৩৬ শতাংশ বা সাত কোটি ৮০ লাখ লোক করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ নিয়েছেন।
অনেকের মধ্যে দ্বিধা থাকায় সরকার ভ্যাকসিন গ্রহীতার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য কঠোর সব পদক্ষেপ নিয়েছে। মোবাইল ফোনের সেবা বন্ধ রাখা, বেতন আটকে রাখা ও বিমান ভ্রমণ করতে না দেওয়া এগুলোর অন্যতম।
মসজিদে ঢোকার জন্য ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি মাস্ক পরা ও নামাজ আদায়ের সময় ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালে দেশটির সরকার একই ধরনের বিধিনিষেধ জারি করার চেষ্টা করলে বিরোধিতাকারীরা বেশ কয়েকটি ঘটনায় সহিংস হয়ে উঠেছিল। এপ্রিলে করাচিতে বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মসজিদের সামনে পুলিশ অবস্থান নিলে মুসুল্লিরা পুলিশের গাড়ির লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছিল।
সারাবাংলা/একেএম