ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি কমেছে
২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৫১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:১৬
হিলি (দিনাজপুর): বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কমেছে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি। কিছু দিন আগে এই বন্দর দিয়ে দৈনিক ভারত থেকে ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে এর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে তিন থেকে চার ট্রাকে। বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুনগত মান ভালো এবং দাম কম হওয়ায় ক্রেতারা বেশি কিনছেন। আর চাহিদা কমে যাওয়া এবং দাম বেশি তাই পেঁয়াজের আমদানি কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, গেলো সপ্তাহে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৭ ট্রাকে এক হাজার ১৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আর চলতি সপ্তাহে দুই কর্ম দিবসে মাত্র ৯ ট্রাকে ২৪০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের পাইকারি এবং স্থানীয় খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ভারতীয় নাসিক জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং ইন্দুর জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে। অন্যদিকে দেশি মুড়ি কাটা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মো. বাবু জানান, দেশের বাজারে মুড়ি কাটা পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে এবং দামও অনেক কম। যে কারণে ভারত থেকে বেশি দামে পেঁয়াজ ক্রেতারা কিনছেন না। আর চাহিদা না থাকায় এবং লোকসানের ভয়ে আমদানি হচ্ছে কম। তবে বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেলে আবারও আমদানি বাড়বে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী বলেন, বন্দর থেকে বেশি দামে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনে বাজারে বিক্রি করতে গেলে লোকসান গুনতে হবে তাই পেঁয়াজ না কিনে তিনি ফিরে যাচ্ছেন।
হিলি বাজারের খুচরা বিক্রেতা রাইহান বলেন, বাজারে আমদানি এবং দেশি পেঁয়াজ দুটোর সরবরাহ রয়েছে। তবে দেশি পেঁয়াজের মান ভালো এবং দাম কম হওয়ার কারণে এই পেঁয়াজের বেচা-কেনা একটু বেশি আর ভারতীয় পেঁয়াজের বিক্রি একটু ধীরগতি।
সারাবাংলা/একেএম