ট্রান্সজেন্ডার নারীকে নির্যাতন: ফুয়াদ-নীরাসহ ৩ জন গ্রেফতার
২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:০১ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৪৮
ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এক বাসায় ট্রান্সজেন্ডার এক নারীকে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় মূলহোতা ইশতিয়াক আমিন ফুয়াদ ও সহযোগী তথাকথিত নারী আরজে সায়মা সিকদার নীরাসহ তিনজনকে রাজধানীর ফার্মগেট ও মহাখালী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক এএসপি ইমরান হেসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর ভাটারা থানায় ভুক্তভোগী নারী মামলা করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ট্রান্সজেন্ডার নারী একজন মেকআপ আর্টিস্ট। সে সূত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ১০ জানুয়ারি বিকেলে ওই যুবকের সঙ্গে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি-সংলগ্ন একটি রেস্টুরেন্টের সামনে তার দেখা হয়। ওই যুবক কথার একপর্যায়ে জানান, তার স্ত্রী ওই ট্রান্সজেন্ডার নারীর ভক্ত। স্ত্রীকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য তাকে তার বাসায় যাওয়ার অনুরোধ করেন।
এজাহারে ভুক্তভোগী জানান, তিনি ওই যুবকের কথা বিশ্বাস করে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ৫ নম্বর সড়কের এক বাসার দ্বিতীয় তলার ফ্ল্যাটে যান। সেখানে যাওয়ার পর তিনি এক নারী ও আরেকজন পুরুষকে দেখতে পান।
ওই তিনজন ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। এতে বাধা দিলে তিনজন তাকে মারধর শুরু করেন এবং বলতে থাকেন এই ভিডিও তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে। এ সময় তিনজন নিজেদের আইনের লোক পরিচয় দেন। তাদের কাছে অস্ত্র ও ওয়াকিটকি ছিল বলে জানান তিনি।
মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, ভুক্তভোগীর কাছে থাকা মোবাইল ফোন, সোনার চেইন, নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এরপর তার কাছে এক লাখ টাকা দাবি করে বলা হয়, না দিলে মেরে পূর্বাচলে ফেলে দেওয়া হবে।
পরবর্তী সময়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলে তাকে থানায় নিয়ে যাবে বলে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে রাত ৮টার দিকে রামপুরা এলাকায় একটি হাসপাতালের সামনে ফেলে যায়।
সারাবাংলা/ইউজে/একে