বিএমডিসির নতুন সভাপতি ডা. মাহমুদ, সহসভাপতি ডা. রওশন
২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১০:১৫
ঢাকা: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানকে কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটিতে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ডা. রওশন আরা বেগম।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিএমডিসির ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. লিয়াকত জানান, আগামী তিন বছরের জন্য বিএমডিসির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটি বিএমডিসি আইন ২০১০ (৬১ নং আইন) এর বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসানকে। কমিটিতে সহ-সভাপতি করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম এবং কোষাধ্যক্ষ করা হয়েছে অধ্যাপক ডা. এ বি এম মাকসুদুল আলমকে।
বিএমডিসির নতুন কার্যনির্বাহী কমিটিতে আছেন ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. মো. জুলফিকার রহমান খান ও অধ্যাপক ডা. বায়েজীদ খুরশীদ রিয়াজ।
এছাড়াও স্থায়ী স্বীকৃতি প্রদান কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ। এতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. কাজী শহীদুল আলম, ডা. জামাল উদ্দীন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. মো. নূরুল হুদী ও অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কাশেম।
বিএমডিসির নতুন শৃঙ্খলা কমিটিতে চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, ডা. রোকেয়া সুলতানা, ডা. মনিরুজ্জামান শাহীন, অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান ভূইয়া ও শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
বিএমডিসির নতুন জার্নাল কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান। এতে সদস্য হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. মির্জা মানজুরুল হক, ডা. শাহরিয়ার নবী ও অধ্যাপক ডা. মো. শফিকুল আলম চৌধুরী।
বিএমডিসি নতুন এই কমিটিতে ভবিষ্যৎ সঞ্চয় তহবিলের দায়িত্ব পেয়েছেন অধ্যাপক ডা. এম এ মান্নান।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার ব্যাপারেও নীতিমালা প্রণয়ন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। এটি বাংলাদেশ মেডিকেল কাউন্সিল অ্যাক্টের আওতায় প্রতিষ্ঠিত। ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এ আইনের নাম বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ১৯৭৩৷ মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি। এর ফলে উক্ত মেডিকেল কলেজ এবং ডেন্টাল কলেজ চিকিৎসক তৈরির ক্ষেত্রে অনুমোদন প্রাপ্ত হয়। এছাড়া মেডিকেল এবং ডেন্টাল পড়াশোনার পর বাংলাদেশে এ সেবা দেওয়ার ব্যাপারে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরদের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি।
সারাবাংলা/এসবি