অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে বিধিনিষেধ মানার দায়িত্ব জনগণের
২১ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৫১ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:২২
ঢাকা: দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখতে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার বিধিনিষেধ দিলে সেগুলো মেনে চলা জনগণের দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, সংক্রমণ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সরকার বিধিনিষেধ দিতে পারে। কিন্তু সেটি মানার দায়িত্ব জনগণের। জনগণই পারবে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চালিয়ে নিয়ে যেতে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, জনগণ ইচ্ছা করলে সবই সম্ভব। তাদের ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করে আমরা কত তাড়াতাড়ি এই সংক্রমণ থেকে বেরিয়ে আসতে পারব।
আরও পড়ুন-
- ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্কুল কলেজ বন্ধ
- অর্ধেক জনবলে অফিস চালানোর সিদ্ধান্ত
- অনুষ্ঠানে ১০০ জনের বেশি নয়, ভ্যাকসিন সনদ বাধ্যতামূলক
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা পৃথিবীর অবস্থা দেখতে পারছি। আমাদের নিজেদেরও অভিজ্ঞতা হয়েছে। সে পরিস্থিতি বুঝে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে যথাযথ পদক্ষেপ আমাদের প্রত্যেকেরই নেওয়া দরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে তা আশঙ্কাজনক। স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে এমনটা হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকার হাসপাতালগুলোর বেড এক-তৃতীয়াংশ পূরণ হয়ে গেছে। আর তাই প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে আগামী দুই সপ্তাহ স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হবে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি গত কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী। এরই মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হারও পেরিয়ে গেছে ২৬ শতাংশ। দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনও শনাক্ত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ১০ জানুয়ারি ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে। ১৩ জানুয়ারি থেকে এসব বিধিনিষেধ কার্যকর হয়।
তবে বিধিনিষেধ কার্যকরের পরের এক সপ্তাহেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি থামেনি। এ পরিস্থিতিতেই আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিধফতরে জরুরি ব্রিফ করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এদিন আরও ৫ দফা নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ।
সারাবাংলা/এসবি/টিআর