শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা নিয়ে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে আ.লীগ নেতারা
১৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:০৫ | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২২ ২১:১২
সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছে। দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচি চলাকালে মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রীর বার্তা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ভিসির সঙ্গে দেখা করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।
শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের বার্তা নিয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ আওয়ামী লীগ নেতারা ক্যাম্পাসে পৌঁছান।
এসময় শিক্ষার্থীরা গোলচত্বরে আওয়ামী লীগ নেতাদের সামনে ভিসির পদত্যাগের একদফা দাবিতে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য শুনে আওয়ামী লীগ নেতারা আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণে সময় চান এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি হিসেবে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে গত রোববার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ছাড়ার নির্দেশনা উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের মদদে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে, তাই তার পদত্যাগ চাই। এছাড়া প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের পদত্যাগও দাবি করেন তারা। ক্যাম্পাস বন্ধ ও হল ছাড়ার ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করেছে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অতিরিক্ত আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি না মানায় গত রোববার নিজের বাসভবনে যাওয়ার সময় উপাচার্যকে ধাওয়া করে শিক্ষার্থীরা। এদিন বিকাল ৩ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ এসে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। উপাচার্যকে মুক্ত করে তার বাসভবনে নিয়ে যায়। এতে অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
এদিকে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জরুরি সিন্ডিকেট সভার আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের কমিটি করা হয়।
গতকাল সোমবার বিকেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়, একাডেমিক ভবন, কন্ট্রোলার অফিসসহ বিভিন্ন আবাসিক হলে তালা দেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এছাড়া ভিসির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ করার জন্য গণস্বাক্ষর গ্রহণ করে।
সারাবাংলা/এসএসএ