সম্মেলন শুরু, আসেননি করোনা আক্রান্ত ৭ ডিসি ও বিভাগীয় কমিশনার
১৮ জানুয়ারি ২০২২ ১২:৪৬
ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দুই বছর স্থগিত থাকার পর রাজধানীতে শুরু হয়েছে জেলা প্রশাসক সম্মেলন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সকাল ১০টায় গুরুত্বপূর্ণ এই সম্মেলনের ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েস সিদ্দিকী।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তি থাকায় এবার সচিবালয় না হয়ে এই সম্মেলন ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে। সরকারের মাঠপর্যায়ে কর্মকাণ্ডকে তরান্বিত করার এই সম্মেলনে দেশের সকল জেলা প্রসাশক এ বিভাগীয় কমিশনাররা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় ২ বিভাগীয় কমিশনার এবং ৫ জেলা প্রশাসক এই সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি। কোভিড-১৯ এর নতুন ঢেউয়ের কারণে এই সম্মেলন এরইমধ্যে পাঁচ দিন থেকে কমিয়ে তিনদিন করা হয়েছে। সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে উদ্বোধনী অধিবেশনও। এবার মাত্র ১৫টি মন্ত্রণালয়ের ১৫ জন মন্ত্রী ও সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন শেষে প্রথম দিনের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। সেখানে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, বাস্তবায়ন পরীবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, অর্থ বিভাগ, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, পরিকল্পনা বিভাগ এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় রয়েছে।
এবার সম্মেলনের তিন দিনে উদ্বোধনী অধিবেশনসহ মোট ২৫টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মন্ত্রণালয়, বিভাগ, সংস্থা মিলিয়ে মোট ৫৫ টি প্রতিষ্ঠানের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, সচিব, উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে আলোচনা করবেন। সম্মেলনে জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে ২৬৩টি এজেন্ডা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ১৮টি। এছাড়া, জনপ্রশাসন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাব সবচেয়ে বেশি।
ডিসি সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় ভূমি ব্যবস্থাপনা, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম জোরদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ পুনর্বাসন কার্যক্রম, স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন, দারিদ্র বিমোচন কর্মসূচি বাস্তবায়ন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচি বাস্তবায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার এবং ই-গর্ভনেন্স। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার কল্যাণ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণ রোধ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরীবীক্ষন ও সমন্বয়।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক সম্মেলনে মন্ত্রী ও সচিবদের উপস্থিতিতে নানান বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে নানা সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন জেলা প্রশাসকরা। এর বিপরীতে তাদের নানা দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
সারাবাংলা/জেআর/এএম