Thursday 16 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আজ বসবে না হাইকোর্ট-আপিল বিভাগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৩:২৯ | আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:০৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক বিচারপতি তাফাজ্জাল হোসেন (টিএইচ) খানের মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ বসবে না।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আপিল বিভাগ বেঞ্চে বসলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী ও আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল টিএইচ খানের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ইতওমধ্যেই সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সিনিয়র আইনজীবী টিএইচ খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগ পরিচালনা করা হবে না।

এর আগে, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টিএইচ খান রোববার বিকেলে মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন।

দেশের প্রবীণ এই আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছেন।

টিএইচ খান ১৯২০ সালের ২১ অক্টোবর ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলাধীন ঔটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৪২ সালে তৎকালীন কলকাতা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএ (অনার্স) ভর্তি হন। ১৯৪৫ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ অনার্স এবং ১৯৪৬ সালে এমএ পাস করেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৪৭ সালে তিনি আইন পেশায় যোগ দেন। একই বছর ২৭ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সালেহ আকরামের নেতৃত্বে পাঁচজন বিচারপতি নিয়ে ঢাকা হাইকোর্টের যাত্রা শুরু হয়, সেদিন থেকে বিচারপতি টিএইচ খান একজন আইনজীবী হিসেবে সেই আদালতে (বর্তমান সুপ্রিম কোর্টে) পদচারণা শুরু করেন। তিনি বিচারপতি টিএইচ খান নামে সমধিক পরিচিত হলেও তার প্রকৃত নাম মো. তাফাজ্জাল হোসেন খান।

১৯৬৮ সালে তিনি পূর্ব পাকিস্তান হাইকোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তিনি হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৭৩ সালের জুলাই থেকে আবার আইন ব্যবসায় ফিরে আসেন। ১৯৭৪ সালে তিনি প্রথমবারের মতো সুপ্রিম আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি নির্বাচিত হন।

বিচারপতি টিএইচ খান ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউরা আসন থেকে ১৯৭৯ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮১ সালের ১৫ নভেম্বর আইন ও বিচার, তথ্য ও বেতার, শিক্ষা, ভূমি, প্রশাসন, ধর্ম, যুব ও ক্রীড়া এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব শপথ নেন। এরপর ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এরশাদের নেতৃত্বে নতুন সামরিক আইন জারি করা হয়। তখন তিনি আবার আইন পেশায় ফিরে যান। ১৯৮৬ সালে এরশাদের নির্বাচনে বিরোধিতা করার জন্য তিনি গ্রেফতার হন।

বিচারপতি টিএইচ খান ১৯৯২ সালে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এই পদে তিনি ২০১১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯২ সালে তিনি সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস কমিশনের মেম্বার এবং একই বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯৪ সালে তিনি দ্বিতীয় বারের মতো সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন।

১৯৯৫ সালে টিএইচ খান এশিয়া জোন থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রুয়ান্ডা ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৯ সালের ১৯ জুন পর্যন্ত জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল পদে বিচারকার্য পরিচালনা করে দেশে ফিরে আসেন এবং আবার আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

আইন পেশা ছাড়াও বিচারপতি টিএইচ খান প্রথম জীবনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ, ঢাকার জগন্নাথ কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও আইন বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

টপ নিউজ হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

২০২৫ সালেই বার্সায় ফিরছেন মেসি?
১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৩৫

আরো

সম্পর্কিত খবর