Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আরসা’ প্রধানের ভাই শাহ আলী অস্ত্র ও মাদকসহ আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:১৮ | আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৬:৪৮

কক্সবাজার: মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর ভাই মো. শাহ আলীকে আটক করেছে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকসহ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় তার হেফাজত থেকে এক অপহৃত ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়।

রোববার দুপুরে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, রোববার ভোরে উখিয়ার কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি আস্তানা থেকে তাকে আটক করা হয়। এসময় সেখান থেকে চোখ বাঁধা অবস্থায় সাদিকুল নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। এই আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়।

এসপি নাঈমুল হক জানান, মিয়ানমারের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনী। সম্প্রতি আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন গোয়েন্দা তথ্য পায় যে, আতাউল্লাহর ভাই শাহ আলী ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন। ওই তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি কবে থেকে কেন এই ক্যাম্পে অবস্থান নিয়েছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সে ক্যাম্পে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থান নেয়। তখন থেকেই এসব ক্যাম্পকেন্দ্রিক অপহরণ বাণিজ্য, মাদক কারবার, খুন, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপকর্ম করে আসছিল বলে বিস্তর অভিযোগ উঠে আরসার বিরুদ্ধে। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নেতা মুহিবুল্লাহ। আরসার প্রত্যক্ষ মদদে মুহিবুল্লাহ খুন হন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে ১৪ এপিবিএন পরিচালিত বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে দুই শতাধিক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রেফতার হয়েছে।

নাইমুল হক বলেন, এ পর্যন্ত তথাকথিত আরসা নামধারী ১১৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া মাদক কারবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, চোরাচালানে জড়িত, ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সারাবাংলা/একে/এসএসএ

এপিবিএন টপ নিউজ মিয়ানমার সশস্ত্র সংগঠন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর