Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নির্বাচনে সহযোগী হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ জানুয়ারি ২০২২ ০০:৪৪ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২২ ২৩:০৭

ঢাকা: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে জাতীয় নির্বাচনে সহযোগী শক্তি হিসেবে সশস্ত্র বাহিনীকে অন্তর্ভুক্তিসহ তিন দফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)। প্রস্তাবনায় আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলাসহ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নজরদারি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আহ্বানে সংলাপে অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাবনা দেয় বাংলাদেশ ন্যাপ। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন— দলটির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, যুগ্ম মহাসচিব আতিকুর রহমান, কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া ও মিতা রহমান।

বিজ্ঞাপন

গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশ ন্যাপ নেতারা যে তিন দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন সেগুলো মধ্যে রয়েছে— নির্বাচন কমিশনকে একটি আধুনিক ইলেকটোরাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএমএস) অর্থাৎ একটি আধুনিক নির্বাচন ব্যবস্থা বা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; এবং বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রে জাতিসংঘের অধীনে নির্বাচন পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর সময় এসেছে সশস্ত্র বাহিনীকে দেশের নির্বাচন পরিচালনায় সহযোগী শক্তি হিসাবে অর্ন্তভুক্ত করতে হবে।

প্রস্তাবনায় আরও বলা হয়, বর্তমান বিশ্বে তদারকি (মনিটরিং) ও নিরাপত্তার (সিকিউরিটি) জন্য নানাবিধ প্রযুক্তি সহজলভ্য। আমরা মনে করি, প্রতিটি কেন্দ্রকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোটগ্রহণের জন্য পিপলস কাউন্টিং মেশিন, সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা, রের্কিডিং ও লাইভস্ট্রিমিংয়ের মতো প্রযুক্তি অর্ন্তভুক্ত করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে জেবেল রহমান গানি বঙ্গভবনের সামনে সাংবাদিকদের বলেন, দুঃখজনক হলেও সত্য— স্বাধীনতার পর দীর্ঘ ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও সরকারগুলো জনগণের আস্থা অর্জনের মতো একটি গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচনি ব্যবস্থা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এই দীর্ঘ সময়েও নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন করতে না পারা এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকা সব শাসকগোষ্ঠীর চরম ব্যর্থতা ছাড়া অন্য কিছুই নয়।

অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ছাড়া অর্থবহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ ন্যাপ। এ কথা জানিয়ে জেবেল রহমান গানি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। বারবার এই কমিশন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়া রাষ্ট্রের জন্য শুভ নয়। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষে রাষ্ট্রপতি দ্রুততম সময়ে সংবিধানের ১১৮ বিধি বাস্তবায়নে আইনের বিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখি।

সারাবাংলা/এজেড/টিআর

জেবেল রহমান গানি টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন আইন বাংলাদেশ ন্যাপ রাষ্ট্রপতির সংলাপ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর