Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরও ২১ খাল প্রকল্পে নেওয়ার প্রস্তাব চসিকের, সিডিএর ‘না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৬

চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম নগরীর ৫৭ খালের মধ্যে শুধুমাত্র ৩৬টি খালের সংস্কারকাজ চলছে চলমান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায়। বাকি ২১ খাল সংস্কার করতে না পারলে প্রকল্পের কাজের কোনো সুফল পাওয়া যাবে না বলে মত দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। মেয়র ২১টি খাল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ করলেও সিডিএর কর্মকর্তারা বলেছেন, এই মুহুর্তে সম্ভব নয়।

রোববার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন সংক্রান্ত প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় এ মত দিয়েছেন মেয়র।

বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্প সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। আরও প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সিটি করপোরেশন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। এসব প্রকল্পের আওতায় নগরীর ৩৬টি খাল সংস্কারের কথা আছে।

প্রকল্পগুলো নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সূচনা বক্তব্যে চসিকের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬ টি খাল থেকে অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু বাকি খালগুলোতে অনেক অবৈধ স্থাপনা রয়ে গেছে। এগুলো উচ্ছেদ করতে হবে। সব খালে কাজ করা গেলে ভালো ফল আসবে।’

বর্ষা মৌসুমের আগেই খালগুলোর ভেতর থেকে অস্থায়ী বাঁধ ও মাটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের অনুরোধ জানিয়েছেন মেয়র।

‘নির্মাণকাজের জন্য অনেক খাল ভরাট করে ফেলা হয়েছে। উপকরণ সামগ্রী নেওয়ার জন্য খালের ভেতর ভরাট করতে হবে, তবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। গতবার অস্থায়ী বাঁধের কারণে কিছু কিছু এলাকায় ৫-৭ দিন পর্যন্ত পানি জমে ছিল। এতে মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। তাই এবার তা যাতে না হয়।’

বিজ্ঞাপন

এ পর্যায়ে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ৩৬টি খালের বাইরে আরও ২১টি খাল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেন। তবে প্রস্তাব গ্রহণ করেননি সিডিএ কর্মকর্তারা।

সিডিএ সচিব আনোয়ার পাশা বলেন, ‘এই ২১ খাল নিয়ে সিটি করপোরেশন আলাদা প্রকল্প নিতে পারে। কেননা সেনাবাহিনীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের মধ্যে শেষ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থায় খালগুলো অন্তর্ভূক্ত করে পরবর্তী পর্যায়ে একনেকের অনুমোদন নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জের কাজ। তাই এসব খালে কাজ করার ব্যাপারে সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কারিগরি সহায়তা নিতে পারে।’

জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএর নেওয়া দুই প্রকল্পের আওতায় ১৭ খালের মুখে স্লুইচগেট নির্মাণের কাজ আগামী মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক ও সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, ‘গতবারের মতো এবার খালগুলো মাটি ও অস্থায়ী বাঁধ থাকবে না। পানি প্রবাহের জন্য খালগুলো এবার সচল থাকবে। এর মধ্যে খালের মুখে জলকপাটের কাজও শেষ হবে। তাই আগের মতো এবার জলাবদ্ধতা হবে না।’

নগরীর টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন- সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ ও প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী মাহমুদুল হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর।

সারাবাংলা/আরডি/একে

খাল চট্টগ্রাম মহানগর টপ নিউজ সিডিএ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর